আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে করে - বাংলাদেশে আউটসোর্সিং এর কাজ
বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে করে? এই প্রশ্নটিই অনেক শোনা যায়। যারা আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে করে? এই ধরনের প্রশ্ন করে থাকে তাদের জন্য সম্পুর্ন পোস্ট জুড়ে আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে করে? এর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বাংলাদেশে আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে করবেন তা জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে করে - বাংলাদেশে আউটসোর্সিং এর কাজ
- আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে করে - বাংলাদেশে আউটসোর্সিং এর কাজঃ প্রথম কথা
- আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে করে
- আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কি কাজ করা হয়
- বাংলাদেশে আউটসোর্সিং এর কাজ
- আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে করে - বাংলাদেশে আউটসোর্সিং এর কাজঃ শেষ কথা
আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে করে - বাংলাদেশে আউটসোর্সিং এর কাজঃ প্রথম কথা
আউটসোর্সিং হলো বর্তমান যুগে ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে বাড়িতে বসে অর্থের বিনিময়ে নিজের কাজ অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেওয়া কে আউটসোর্সিং বলা হয়। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে করে? আজকেরে আর্টিকেলে আমরা আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে করে এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আপনাদের জানাবো।
আরো পড়ুনঃ ২০টি বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং সাইট - বাংলাদেশি আউটসোর্সিং সাইট ২০২২
আশা করি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে করে এবং বাংলাদেশে আউটসোর্সিং এর কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে করে তা জেনে নেওয়া যাক।
আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে করে?
আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এবং আউটসোর্সিংকে একই বিষয় মনে করি। কিন্তু আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের ধরন একই হলেও এটি দুইটি ভিন্ন বিষয়। সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং মুক্ত পেশা কে বলা হয়। অর্থাৎ যে টাকার বিনিময় অন্যের কাজ করে দেয় তাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। এবং আউটসোর্সিং যে ব্যাক্তি টাকার বিনিময় কোন প্রতিষ্ঠান এর কাজ করিয়ে নেই তাকে বলা হয় আউটসোর্সিং।
আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন ফ্রিল্যান্সিংয়ে কিছু নির্দিষ্ট কাজ জানার প্রয়োজন হয় এবং আউটসোর্সিং এ কোন ধরনের কাজ জানার প্রয়োজন হয় না। মনে করেন আপনি আপনার কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতিষ্ঠান বাইরের কোন ব্যক্তিকে অর্থের বিনিময় একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ করিয়ে নেবেন এটাকে বলা হয় আউটসোর্সিং।
আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আপনি কম খরচে এবং কম সময়ের মধ্যে দক্ষ কর্মী দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারবেন। আউটসোর্সিং করার জন্য বিভিন্ন রকম ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে গিয়ে আপনি আপনার কাজের জন্য দক্ষ ফ্রিল্যান্সার খুঁজে পাবেন এবং আপনার কাজের অর্ডার দিতে পারবেন। সেই ওয়েবসাইট গুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- ফাইবার
- ফ্রিল্যান্সার
- গুরু
- আপওয়ার্ক
আউটসোর্সিং করার জন্য আপনাকে প্রথমে উপরের ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে যেকোনো একটিতে যেতে হবে তারপরে আপনার পছন্দমত ফ্রিল্যান্সার খুঁজে নিতে হবে যে আপনার কাজ নিখুঁতভাবে করে দিতে পারবে। তারপরে আপনি তাকে আপনার কাজের সমস্যা গুলো সবগুলো বলবেন এবং কাজের জন্য কত টাকা দিতে হবে সেই সম্পর্কে আলোচনা করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো 2022 - ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো জানুন
এভাবে আপনি ধাপে ধাপে আপনার কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। এরপর ফ্রিল্যান্সার অর্থাৎ যাকে আপনি কাজ দিয়েছেন তার কাজ করা হয়ে যাওয়ার পরে আপনাকে কাজ জমা দিবে তারপরে সে তার অর্থ পেয়ে যাবে। এভাবেই আউটসোর্সিং করতে হয় আপনি কাজটি করালেন এতে আপনি আউটসোর্সিং করলেন এবং সে আপনার কাজ করে দিয়ে অর্থোপার্জন করল এটা হল ফ্রিল্যান্সিং।
আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কি কাজ করা হয়?
প্রিয় পাঠক আমরা ইতিমধ্যে আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে করে এ বিষয়ে সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি আউটসোর্সিং এর বিষয়ে অনেকগুলো তথ্য জানতে পেরেছেন। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কি কি কাজ করা হয় এটি জানা প্রয়োজন। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কি কি কাজ করা হয়? তা জেনে নিন।
- ভিডিও এডিটিং
- ওয়েব ডিজাইন
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- কপিরাইটিং
- সেলস এন্ড মার্কেটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- আরো অন্যান্য কাজ
একাজগুলো আপনি আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে উপরের দেওয়া ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার দ্বারা করিয়ে নিতে পারবেন। এতে আপনার সময় এবং অর্থের অপচয় কমবে। যেখানে আপনাকে কোন ধরনের কাজ করার প্রয়োজন হবে না। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কি কি কাজ করা হয় আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
বাংলাদেশে আউটসোর্সিং এর কাজ
বাংলাদেশে আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পূর্বে বাংলাদেশে আউটসোর্সিং এত জনপ্রিয় ছিল না। কিন্তু বর্তমানে বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে বেশি মনোযোগী হয়ে উঠছে যার ফলে অনেক কোম্পানি তাদের দিয়ে আউটসোর্সিং করিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশের অনেক বড় বড় ফ্রিল্যান্সার আছে যারা প্রতি মাসে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে ফ্রিল্যান্সিং করে।
বাংলাদেশ থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে নিতে পারবেন। আউটসোর্সিং আয় এর দিক থেকে বাংলাদেশ ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। কম খরচে এবং সুন্দর কাজের কথা বিবেচনা করে বাইরের দেশ থেকে অনেক কোম্পানি বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার দিয়ে তাদের কাজ করিয়ে নিচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান - বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সার
বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সার রয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় লাখের বেশি। তার মধ্যে নিয়মিত কাজ করে প্রায় 5 লাখ ফ্রিল্যান্সার। বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগ এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের ফিল্যান্সার বছরে প্রায় ১০ কোটি ডলার আয় করে। বাংলাদেশের অনেক কোম্পানি আছে যারা তাদের বিভিন্ন রকম কাজ আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে করিয়ে নেয়।
আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে করে - বাংলাদেশে আউটসোর্সিং এর কাজঃ শেষ কথা
আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে করে? আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কি কি কাজ করা হয়? এছাড়া আউটসোর্সিং সম্পর্কে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আজকের এই আর্টিকেলের আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে ইতিমধ্যে আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে করে তা বুঝে গিয়েছেন।
এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম তথ্যমূলক পোস্ট আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।১৬৮৩০
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন