কনজাংটিভাইটিস কি - কনজাংটিভাইটিস এর ড্রপ
কনজাংটিভাইটিস কি? এই বিষয় সম্পর্কে জানব। কনজাংটিভাইটিস কি? এটি হলো রোগ কে চোখ ওঠা রোগ বলা হয়। এখনকার সময়ে একটি বড় সমস্যা হল কনজাংটিভাইটিস। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কনজাংটিভাইটিস কি? কনজাংটিভাইটিস এর ড্রপ নিয়ে আলোচনা করব।
আপনি যদি কনজাংটিভাইটিস কি? তা জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন দেরি না করে কনজাংটিভাইটিস কি? এ বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ কনজাংটিভাইটিস কি - কনজাংটিভাইটিস এর ড্রপ
- কনজাংটিভাইটিস কি - কনজাংটিভাইটিস এর ড্রপঃ উপস্থাপনা
- কনজাংটিভাইটিস কি
- কনজাংটিভাইটিস কেন হয়
- কনজাংটিভাইটিস ভাইরাস
- কনজাংটিভাইটিস কিভাবে ছড়ায়
- কনজাংটিভাইটিস হলে করণীয়
- কনজাংটিভাইটিস এর চিকিৎসা - কনজাংটিভাইটিস চিকিৎসা
- কনজাংটিভাইটিস প্রতিরোধ
- কনজাংটিভাইটিস এর ড্রপ
- শেষ কথাঃ কনজাংটিভাইটিস কি - কনজাংটিভাইটিস এর ড্রপ
কনজাংটিভাইটিস কি - কনজাংটিভাইটিস এর ড্রপঃ উপস্থাপনা
চোখ ওঠা সমস্যাকে কনজাংটিভাইটিস বলা হয়। এখনকার সময়ে একটি বড় সমস্যা হল চোখ ওঠা। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষ পর্যন্ত এ সমস্যায় ভুগে থাকে। কনজাংটিভাইটিস সমস্যাটি ভাইরাসজনিত কারণে হয়ে থাকে। ভাইরাসের ছোঁয়াচে হওয়ায় একজনের থেকে অন্যজনের রোগটি চলে যায়। আজকের আর্টিকেলে আমরা কনজাংটিভাইটিস কি? এই বিষয় সর্ম্পকে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব।
কনজাংটিভাইটিস কি?
কনজাংটিভাইটিস হল ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। সাধারণত কনজাংটিভাইটিস অর্থাৎ চলতে লাল হয়ে যাওয়া বোঝানো হয়ে থাকে। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। সাধারণত এলার্জির কারণে ও কনজাংটিভাইটিস সমস্যা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ লেবু খাওয়ার ৩০ টি উপকারিতা এবং অপকারিতা বিস্তারিত জানুন
কনজাংটিভাইটিস হল ব্যথা যা আমাদের চোখের পাতার নিচে ঝিল্লির মতো পাতলা পর্দা যা আমাদের চোখের সাদা অংশকে ভেতরের ভাগকে ঢেকে রাখে। এর কারণে চোখ লাল হয়ে যায় এটি একটি চোখ ওঠা রোগের উপসর্গ মাত্র।
কনজাংটিভাইটিস কেন হয়
কনজাংটিভাইটিস একটি ছোঁয়াচে রোগ এবং একটি ভাইরাস আক্রমণ করার ফলে হয়ে থাকে। একটি ছোঁয়াচে রোগ হওয়ার কারণে রোগীকে স্পর্শ করার ফলে এবং ভাইরাসজনিত কারণে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। কনজাংটিভাইটিস কি? কনজাংটিভাইটিস কেন হয় এ বিষয়টি জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
চোখের পানিতে চোখের ভাইরাস ভেসে বেড়ায় এর ফলে চোখে হাত দেওয়ার কারনে সেই ভাইরাস হাতে চলে আসে। হাত দিয়ে যেকোনো জায়গায় স্পর্শ করলে ভাইরাস গুলো সেই জায়গায় চলে যাই। কোন ব্যক্তি যদি সে জায়গায় স্পর্শ করে অথবা রোগীর হাত স্পর্শ করে তাহলে তার চোখ ওঠার সমস্যা হতে পারে।
আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে হ্যান্ডশেক করলে অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস যেমন টিস্যু সানগ্লাস, কাপড় ইত্যাদি ব্যবহার করার ফলে এই সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। কনজাংটিভাইটিস সমস্যাটি ভাইরাস জনিত সমস্যা হওয়ার কারণে এটি বায়ুর মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
কনজাংটিভাইটিস ভাইরাস
চোখ ওঠা রোগ এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। ভাইরাস আক্রমণ করার ফলে চৌঠা সমস্যাটি হয়ে থাকে। যার কারণে চোখ লাল হয়ে যায়। কিন্তু চোখ লাল হয়ে যাওয়া চোখ উঠা না। চোখ লাল হয়ে যাওয়া চোখ ওঠার একটি উপসর্গ মাত্র। বিভিন্ন কারণে চোখ লাল হতে পারে জীবাণু দ্বারা আক্রমণ হলে, এডিনো ভাইরাস জনিত কারণে চোখ লাভ হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ব্লাড ক্যান্সার হলে কি হয় - ব্লাড ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়ার ১০ টি উপায়
ইনফেকশনজনিত কারণেও চোখ লাল হয়ে যেতে পারে। কনজাংটিভাইটিস রোগীকে স্পর্শ করার ফলে চৌঠা সমস্যাটি হতে পারে। একটি ভাইরাসজনিত রোগ হওয়ায় খুব সহজেই বাতাসে এ রোগের জীবাণু উড়ে বেড়ায় এবং খুব সহজে মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে।
কনজাংটিভাইটিস কিভাবে ছড়ায়
এখনকার সময়ে চোখ ওঠা সংসারে খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে কনজাংটিভাইটিস সমস্যাটি ভাইরাস জনিত সমস্যা। কনজাংটিভাইটিস কি? আরো অনেকগুলো বিষয় ইতিমধ্যে আপনারা জানতে পেরেছেন এখন আমরা জানবো কনজাংটিভাইটিস কিভাবে ছড়ায়?
১। সাধারণত এই ভাইরাসটি চোখের পানির মধ্য দিয়ে ভেসে বেড়ায়। যখন হাত দিয়ে চোখ স্পর্শ করা হয় অথবা চোখের পানি মোছা হয় তখন এই ভাইরাস আমাদের হাতে চলে আসে এবং হাত থেকে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যায়।
২। চোখ ওঠা রোগের ব্যবহৃত তোয়ালে রুমাল টিস্যু কাপড় ইত্যাদি ব্যবহার করলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩। কনজাংটিভাইটিস রোগীর সাথে হ্যান্ডশেক করলে তার ভাইরাস আপনার হাতে চলে আসতে পারে এ থেকে চোখ ওঠা রোগ হতে পারে।
৪। কনজাংটিভাইটিস ভাইরাসজনিত রোগ হওয়ায় এটি বায়ুর মাধ্যমে ছড়ায়।
কনজাংটিভাইটিস হলে করণীয়
কনজাংটিভাইটিস হলো একটি বড় ধরনের সমস্যা এখনকার সময়ে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। শুধু বাচ্চাদের নয় বড়দের ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা এখন দেখা দিচ্ছে।কনজাংটিভাইটিস হলে করনীয় কি এবিষয়ে সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা উচিত তাহলে আমরা খুব সহজেই এটি থেকে বের হয়ে আসতে পারবো।
আরো পড়ুনঃ কমলা খাওয়ার ৭ টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
১। চোখ ওঠার সমস্যা হলে চোখে হাত দেওয়া যাবেনা।
২। যখন বাইরে যাবেন তখন কালো চশমা ব্যবহার করতে হবে। যাতে বাইরের কোনো ধুলোবালি চোখের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। কালো চশমা ব্যবহার করার ফলে ধুলোবালি এবং বাহ্যিক আঘাত থেকে চোখ কে বাঁচানো যায়।
৩। চোখ পরিষ্কার করার জন্য আলাদা রুমাল অথবা টিস্যু ব্যবহার করতে হবে।
৪। চোখে ময়লা জমলে হালকা বা নরম কাপড় দিয়ে বাহার কিভাবে পানির ঝাপটা দিয়ে তা পরিষ্কার করতে হবে।
৫। বাইরে থেকে আসার পর ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
৬। হাত সবসময় সাবান এবং স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
৭। চোখের পাতা যদি অতিরিক্ত ভাবত ফুলে যায় তাহলে সেখানে বরফ দেওয়া যেতে পারে।
৮। অন্যের ব্যবহার করা আই ড্রপ ব্যবহার করা যাবে না।
৯। শিশুদের এই ধরনের সমস্যা হলে বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
১০। সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং অপরিষ্কার কাপড় দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা যাবে না অথবা পড়া যাবে না।
কনজাংটিভাইটিস এর চিকিৎসা - কনজাংটিভাইটিস চিকিৎসা
কনজাংটিভাইটিস কি? ইতিমধ্যে আপনি বুঝে গিয়েছেন। এই ধরনের সমস্যা হলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি খুবই সাধারন একটি রোগ এবং নিজে থেকেই কয়েকদিনের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে। যদি অতিরিক্ত বেশি ধরনের সমস্যা দেখা যায় তাহলে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে।
চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিভাইরাস ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে এটি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে ওষুধ নেওয়া জরুরী। সে ক্ষেত্রে অনেক সাবধানে থাকতে হবে বারবার চোখের পানি দেওয়া যাবে না।
চোখে অপরিষ্কার কোন কিছু লাগানো যাবেনা অপরের হাত চোখে লাগানো যাবে না। চোখ পরিষ্কার করার জন্য হালকা গরম পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করে নিতে পারেন।
কনজাংটিভাইটিস প্রতিরোধ
কনজাংটিভাইটিস একটি ছোঁয়াচে রোগ তাই এটি বাতাসের মাধ্যমে অথবা রোগীকে স্পর্শ করার ফলে হতে পারে তাই অতি সাবধানতার সাথে চলাফেরা করতে হবে। আপনারা যারা কনজাংটিভাইটিস কি? এ বিষয়ে সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই বিষয়টি সম্পর্কে আগে জেনে নিন।
১। চোখের পানি এবং ময়লা পরিষ্কার করার জন্য আলাদা রুমাল অথবা কাপড় ব্যবহার করতে হবে।
২। চোখে অপরিষ্কার রুমাল অথবা কাপড় লাগানো যাবে না।
৩। পানির ঝাপটা চোখে দেওয়া যাবেনা। চোখ পরিষ্কার করার জন্য হালকা গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।
৪। হাত দিয়ে চোখ চুলকানো যাবে না।
৫। হাত না ধুয়ে চোখে হাত দেওয়া যাবেনা।
৬। যাদের চোখ উঠেছে তাদের থেকে একটু দূরে থাকতে হবে।
কনজাংটিভাইটিস এর ড্রপ
কনজাংটিভাইটিস এ সমস্যাটি হলে অনেকেই ঘাবড়ে যায়। এখানে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি খুবই সাধারন একটি রোগ। তাই বেশি আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানে চলাফেরা করুন তাহলেই এটি কয়েকদিনের মধ্যেই নিজে থেকে ভালো হয়ে যাবে। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে চোখ ফোলা থাকে এবং জ্বালাপোড়া করে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিভাইরাস ড্রপ ডোজ মেনে ব্যবহার করলে খুব সহজে এটি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। চোখের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে এন্টিবায়োটিক আই ড্রপ ও আর্টিফিশিয়াল আই ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আই ড্রপ ব্যবহার করতে হবে।
শেষ কথাঃ কনজাংটিভাইটিস কি - কনজাংটিভাইটিস এর ড্রপ
কনজাংটিভাইটিস কি? কনজাংটিভাইটিস এর ড্রপ। কনজাংটিভাইটিস হলে করণীয়, কনজাংটিভাইটিস এর চিকিৎসা। এই আর্টিকেলে যে সকল বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি এই আর্টিকেল থেকে উপরের বিষয় গুলো বুঝতে পেড়েছেন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।১৬৮৩০
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন