bloggermomota.com
https://www.bloggermomota.com/2022/10/blog-post_95.html
এজমার স্থায়ী চিকিৎসা - অ্যাজমার আধুনিক চিকিৎসা
এজমার স্থায়ী চিকিৎসা করতে চাইলে আপনাকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করতে হবে। হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে এজমার স্থায়ী চিকিৎসা সম্ভব। তবে এজমার স্থায়ী চিকিৎসা করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ভালো কোন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। নিচে এজমা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।
পেজ সূচিপত্র: এজমার স্থায়ী চিকিৎসা - অ্যাজমার আধুনিক চিকিৎসা
এজমার স্থায়ী চিকিৎসা - অ্যাজমার আধুনিক চিকিৎসা: ভূমিকা
যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে এজমা রোগের নিরাময় করা সম্ভব। এজমা রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে এজমার স্থায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। কি কি পদক্ষেপ অনুসরণ করলেই খুব সহজেই আপনি এজমা থেকে মুক্তি পাবেন সেগুলো নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে। অ্যাজমা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানার জন্য শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
এজমার স্থায়ী চিকিৎসা
পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে এজমার স্থায়ী চিকিৎসা করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যে সকল ঔষধের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারগন এজমার স্থায়ী চিকিৎসা করে থাকেন, সেই ওষুধ গুলোর তালিকা ও কার্যকারিতা নিচে বর্ণনা করা হলো।
ল্যাকেসিস। হোমিওপ্যাথিতে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো ল্যাকেসিস। সাধারণত এই ঔষধটি অ্যাজমার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। রোগী হাঁপানির আক্রমণ যদি অস্থির হয়ে পড়ে এবং হাঁপানির কারণে ঘুম ভেঙ্গে যায়, বুকের উপরে চাপ বোধ হয় এবং কাশির সাথে শ্লেষ্মা উঠিলে উপশম বোধ করে তাহলে সেই রোগের জন্য ল্যাকেসিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ওষুধ।
অ্যান্টিমোনিয়াম আর্স। রোগীর এমফাইজিমা সহ অত্যধিক শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিলে সাধারণত এই ঔষধটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। খাবার খাওয়ার পরে এবং শোয়ার পরে যদি রোগীর রোগ বৃদ্ধি পায় তাহলে সেই ক্ষেত্রে অ্যান্টিমোনিয়াম আর্স ওষুধটি খুবই কার্যকরী একটি ঔষধ বলে বিবেচিত। অ্যাজমা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা ও এজমা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হবে।
অ্যান্টিমোনিয়াম টার্ট। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থায় এজমার স্থায়ী চিকিৎসা করার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ হলো অ্যান্টিমোনিয়াম টার্ট। রোগী যদি প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন তাহলে অ্যান্টিমোনিয়াম টার্ট ঔষধ সেবনের ফলে খুব সহজেই অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
ইপিকাক। এজমা রোগ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ইপিকাক। সঠিকভাবে সঠিক মাত্রায় যদি ইপিকাক প্রয়োগ করা হয় তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই রোগী সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে যে সকল রোগীর চাপা পড়েছে এবং শ্বাস গ্রহণ করার সময় শব্দ হয় সেই রোগীদের জন্য ইপিকাক আদর্শ একটি ঔষধ।
আপিস মেলিফিকা। এজমার স্থায়ী চিকিৎসা করার জন্য হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার গন আপিস মেলিফিকা ঔষধটি ব্যবহার করে থাকেন। আপিস মেলিফিকা সেই সকল রোগীদের জন্য আদর্শ একটি ঔষধ শ্বাস গ্রহণ করতে যাদের অত্যাধিক কষ্ট হয় এবং ক্ষেত্রবিশেষে গলায় ব্যথা থাকে।
অ্যাজমার আধুনিক চিকিৎসা
অ্যাজমার আধুনিক চিকিৎসা করলে খুব সহজেই অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। অ্যাজমার আধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে তুলে ধরা হবে। অ্যাজমার আধুনিক চিকিৎসায় যে সকল ঔষধ ব্যবহৃত হয় সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
তাৎক্ষণিক উপশমকারী ঔষধ। অ্যাজমার প্রকোপ যখন বেড়ে যায় তখন তাৎক্ষণিক উপশমকারী ঔষধ ব্যবহার করতে হয়। তাৎক্ষণিক উপশমকারী ঔষধ হলো সালবিউটামল। এই ঔষধটি সেবনের সাথে সাথেই বিশ্বাস নালীর ছিদ্রপথ প্রশস্ত হয় এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর হয়ে যায়। এই পদ্ধতিটি হলো অ্যাজমার আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি।
প্রতিরোধক ঔষধ। অ্যাজমার আধুনিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় এমন কিছু প্রতিরোধক ঔষধ রয়েছে যে ওষুধগুলো ব্যবহার করলে খুব সহজেই এজমা প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেমন স্টেরয়েড, অ্যামাইনোফাইলিন, ক্রোমগ্লাইকেট ইত্যাদি। ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে এই ঔষধ গুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।
ইনহেলার। এজমার সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি পেতে ইনহেলারের বিকল্প নেই। সহজলভ্য এবং স্বল্পমূল্যের এই ওষুধটি অ্যাজমার আধুনিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত সবচেয়ে কার্যকর ওষুধ বলে বিবেচিত।
নেবুলাইজার। অ্যাজমার সমস্যা যখন তীব্র আকার ধারণ করে তখন নেবুলাইজার প্রয়োগ করতে হয় কেননা নেবুলাইজার প্রয়োগ করলে সাথে সাথেই এজমার প্রকোপ কমে যায়। নেবুলাইজার ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে সেটি জীবাণুমুক্ত।
ইনজেকশন। অ্যাজমার অবস্থা যখন প্রচন্ড আকার ধারণ করে তখন সাধারণত ডাক্তারগন অ্যামাইনোফাইলিন ইনজেকশন প্রয়োগ করে থাকেন। তবে অতিরিক্ত হারে এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে অ্যামাইনোফাইলিন ইনজেকশন ব্যবহার করা উচিত নয়।
অ্যাজমা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
অ্যাজমা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আপনি যদি অ্যাজমা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই এজমা থেকে মুক্তি পাবেন। ফলে এজমার ক্ষতিকর প্রভাব আপনাকে প্রভাবিত করতে পারবে না। চলুন দেখে নেয়া যাক অ্যাজমা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি গুলো।
রসুন। গরম দুধের সাথে নির্দিষ্ট পরিমাণে রসুন মিশ্রিত করে সেই দুধ গরম করে নিয়মিত খেলে খুব সহজেই আপনি এজমা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে হাফ কাপ দুধে ৩/৪ কোয়া রসুন মিশ্রিত করতে হবে। এবং প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে খেতে হবে। এজমা রোগ নিরাময়ে অ্যাজমা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মধু। অ্যাজমা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় মধু। এজমা রোগ নিরাময়ে বহুকাল থেকেই মধুর ব্যবহার সর্বজনবিদিত। অনেক সময় মধুর গন্ধ শুকলে হাঁপানির প্রকোপ কমে যায়। তবে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পেতে প্রতিদিন রাতে শোয়ার পূর্বে এক গ্লাস গরম পানিতে ১ চা চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিয়মিত পান করতে হবে।
ডুমুর। ডুমুর অবহেলিত একটি ফল হলেও অ্যাজমার চিকিৎসায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।বিশেষ করে অ্যাজমা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসায় ডুমুরের উপকারিতা অনস্বীকার্য। আপনি যদি রাত্রে ডুমুরের ফল ভিজিয়ে রেখে সকাল বেলা খালি পেটে ডুমুর ভেজানো পানি কিছুদিন নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে খুব সহজেই এজমা থেকে মুক্তি পাবেন।
কফি। এজমার প্রভাব কমাতে কফি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে যদি আপনি কফি খান শ্বাসনালীর জনতা কমে যাবে এবং খুব সহজেই আপনি শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করতে পারবেন দিনে অন্তত তিন কাপ কফি খাওয়া উচিত। অ্যাজমা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসায় কফি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আদা। আদায় এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে এবং অধিক পরিমাণে অক্সিজেন প্রবেশ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে তাই আপনি প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে আদার রস খেতে পারেন। আদা অ্যাজমা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
এজমা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
এজমা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজমা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানা থাকলে খুব সহজেই অ্যাজমা রোগ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। এজমা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো। উপরে এজমার স্থায়ী চিকিৎসা ও অ্যাজমার আধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এজমা রোগের লক্ষণ:
- শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হওয়া।
- অত্যধিক মাত্রায় কাশি থাকা। বিশেষ করে রাতের বেলায় কাশি বেড়ে যাওয়া।
- কাশির সাথে কফ থাকা।
- অল্প পরিশ্রমে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়া।
- শ্বাস নেওয়ার সময় বুকে ঘরঘর শব্দ করা।
এজমা রোগের প্রতিকার:
- নিয়মিত ভিটামিন ই জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন।
- প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করুন।
- বালিশ তোশক এবং ব্যবহৃত জিনিসপত্র সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
- পোষ্য ও গৃহপালিত পশু থেকে দূরে থাকুন।
- সব সময় ধুলোবালি এড়িয়ে চলুন।
এজমা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে উপরে যে সকল তথ্য তুলে ধরা হলো আপনি যদি সেগুলো অনুশীলন করতে পারেন তাহলে অ্যাজমার প্রকোপ থেকে মুক্তি পাবেন। উপরে বর্ণিত এজমা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কিত তথ্যগুলো আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে।
এজমার স্থায়ী চিকিৎসা - অ্যাজমার আধুনিক চিকিৎসা: শেষ কথা
আপনি যদি একজন অ্যাজমা রোগী হয়ে থাকেন তাহলে এজমা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে রাখা অবশ্যই আপনার একান্ত কর্তব্য। এজমা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এজমা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে যে সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে আশা করি সেই তথ্যগুলো আপনার উপকারে আসবে। ১৬৪১৩
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন