bloggermomota.com https://www.bloggermomota.com/2022/10/blog-post_85.html

হাপানি প্রতিরোধের উপায় - কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়?

হাপানি প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। হাপানি প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জানা থাকলে নিজে সচেতন থাকতে পারবেন এবং অপরকে সচেতন করতে পারবেন।তাই সকলের উচিত হাপানি প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখা। হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায় এবং কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়? তা  নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।

পেজ সূচিপত্র: হাপানি প্রতিরোধের উপায় - কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়?

হাপানি প্রতিরোধের উপায় - হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায়

হাপানি প্রতিরোধের উপায় বা হাপানি প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হলো। নিম্নবর্ণিত হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায় বা হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায়গুলো যদি আপনি সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারেন তাহলে হাঁপানি রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবেন। 

চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক হাপানি প্রতিরোধের উপায় বা হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায় গুলো। হাঁপানি রোগের হারবাল চিকিৎসা এবং হাঁপানি রোগের হোমিও ঔষধ সম্পর্কে জানতে চাইলে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ুন। 

হাপানি প্রতিরোধের উপায় বা হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায় গুলো নিম্নরূপ:
  • এলার্জি উত্তেজক বস্তু এড়িয়ে চলা।
  • ঘরের তোষক, বালিশের কভার, লেপ, ইত্যাদি সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
  • ঘর সব সময় ধুলামুক্ত রাখা এবং প্রতিদিন অন্তত একবার হলেও ঘরের মেঝে ভিজে কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করা অথবা ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে ভালোভাবে ধুলামুক্ত করা।
  • যেকোনো ধরনের ঠান্ডা বাসি খাবার পরিহার করা।
  • ধূমপান থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকা।
  • এলার্জি উত্তেজক খাবার পরিহার করা।
  • ঘরের মেঝেতে কার্পেটের ব্যবহার না করা।
  • শীতকালে সকল কাজে গরম পানি ব্যবহার করা।
  • আইসক্রিম বাবদ জাতীয় যেকোনো খাবার গ্রহণ না করা।
  • সম্ভব হলে পোষা প্রাণী থেকে দূরে থাকা অথবা পরশু প্রাণীকে নিয়মিত গোসল করানো।
  • পরিশ্রমের কাজ পরিহার করা, কেননা পরিশ্রম করলে খুব সহজেই হাঁপানির প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে।
  • দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা।
  • সকালে কিংবা বিকালে বাগানে বেড়াতে না যাওয়া কেননা এই সময়ে সাধারণত পরাগরেণু বাতাসের সাথে উড়ে বেড়ায়।
  • ঘরে থাকা আসবাবপত্র নিয়মিত পরিষ্কার করা যেন আসবাবপত্রে দোলানা জমে থাকে।
  • সব ধরনের যানবাহনের ধোঁয়া থেকে দূরে থাকা।

কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়?

আপনার মনে যদি এ ধরনের প্রশ্ন থাকে যে, কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়? তাহলে আপনি আপনার মনের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন এখানেই। কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়? এবং হাঁপানি রোগের আয়ুর্বেদিক ওষুধ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে। চলুন দেখে নেয়া যাক কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়?

শাকসবজি। সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরের প্রদাহ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে তাই আপনি যদি নিয়মিত শাকসবজি খান তাহলে খুব সহজেই হাঁপানির প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
সামুদ্রিক মাছ। সামুদ্রিক মাছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩, যা শরীরের রোগ-প্রতিরোধ বৃদ্ধি করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং শরীরের যাবতীয় সুরক্ষা প্রদানের সহায়ক। তাই নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ খেলে হাঁপানি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। 

রসুন। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে তাই যদি আপনি হাঁপানি রোগ থেকে মুক্ত থাকতে চান তাহলে নিয়মিত রসুন খান। রসুন খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি রাত্রে শোবার পূর্বে গরম দুধের সাথে ৩/৪ কাঁচা রসুন মিশিয়ে খেতে পারেন। কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়? এই প্রশ্নের উত্তর হলো রসুন। 

পাতিলেবু। পাতি লেবুর রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি। যা হাঁপানি রোগীর কষ্ট লাঘব করতে সক্ষম। তাই আপনি যদি হাঁপানি রোগের করতে চান, তাহলে এক গ্লাস পানির মধ্যে একটি গোটা পাতিলেবুর রস দিয়ে সামান্য চিনি মিশিয়ে খেতে পারেন। এভাবে নিয়মিত কয়েকদিন খেলে হাঁপানি রোগের প্রভাব কমে আসবে। 

গাজর। নিয়মিত গাজর খেলে হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি মেলে। গাজরে থাকা পুষ্টি উপাদান খুব সহজেই হাঁপানির প্রভাব দূরত্ব করতে পারে তাই আপনি যদি হাঁপানির প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে চান তাহলে নিয়মিত গাজর খান। কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়? আশা করি সেই প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। 

হাঁপানি রোগের হারবাল চিকিৎসা

বর্তমানে অনেকেই হাঁপানি রোগের হারবাল চিকিৎসা করে থাকেন। হাঁপানি রোগের হারবাল চিকিৎসা করলে আপনি আপনার সাহায্যে হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। তবে হাঁপানি রোগের হারবাল চিকিৎসা করাতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভালো চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। হাপানি প্রতিরোধের উপায় বা হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায় উপরে তুলে ধরা হয়েছে। 
যেনতেন হাতুড়ে চিকিৎসকের মাধ্যমে যদি আপনি হাঁপানি রোগের হারবাল চিকিৎসা করান তাহলে ভাল ফলাফল পাবেন না। ভালো চিকিৎসকের মাধ্যমে হাঁপানি রোগের হারবাল চিকিৎসা করালে হাঁপানি স্থায়ীভাবে নির্মূল হয়ে যায়। তাই আপনি যদি হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে হাঁপানি রোগের হারবাল চিকিৎসা করাতে পারেন। 

হাঁপানি রোগের হোমিও ঔষধ

Arsenicum lodatum: হাঁপানি রোগের হোমিও ঔষধ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ঔষধ হলো Arsenicum lodatum. বিশেষ করে শীতকালে হাঁপানি রোগীদের চিকিৎসার জন্য এই ঔষধটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেসকল রোগীর শীতকালে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করতে প্রচুর কষ্ট হয় তাদের জন্য এই ঔষধটি আদর্শ হাঁপানি রোগের হোমিও ঔষধ।

Aconitum Napellus: হঠাৎ করে যদি রোগের প্রভাব অতিরিক্ত মাত্রা বেড়ে যায়, এবং রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক রূপ ধারণ করে সেক্ষেত্রে Aconitum Napellus এই ঔষধটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হাঁপানি রোগের হোমিও ঔষধ গুলের মধ্যে এই ওষুধটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ।

Causticum: রোগী যদি প্রচন্ড শ্বাসকষ্টে ভোগেন, এমনকি রোগী বসে থাকতে পর্যন্ত পারে না সে ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি ডাক্তার গন এই ঔষধ ব্যবহার করে থাকেন। হাঁপানি রোগের হোমিও ঔষধ সমূহের মধ্যে Causticum ঔষধটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত একটি ঔষধ। 

Thuja Occidentalis: হাঁপানি রোগের হোমিও ঔষধ হিসেবে যে সকল ঔষধ ডাক্তারগণ ব্যবহার করে থাকেন তার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর ও বহুল ব্যবহৃত ঔষধ টি হলো Thuja. সঠিক মাত্রায় এই ঔষধটি প্রয়োগ করতে পারলে অল্পক্ষণের মধ্যেই হাঁপানি রোগী সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। তাই ডাক্তারগণ সাধারণত মূল্যবান এই হাঁপানি রোগের হোমিও ঔষধ টি শেষ সম্বল হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন।

Bacillinum: হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তির পূর্ব পুরুষের মধ্যে যদি কারো হাঁপানি রোগ থেকে থাকে তাহলে এই ঔষধটি হতে পারে সেই রোগীর জন্য উপযুক্ত একটি হাঁপানি রোগের হোমিও ঔষধ। গুরুত্বপূর্ণ এই ঔষধটি সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে খুব সহজে হাঁপানি রোগ নিরাময় হতে পারে। হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায় উপরে তুলে ধরা হয়েছে। 

হাঁপানি রোগের আয়ুর্বেদিক ওষুধ

হাঁপানি রোগের আয়ুর্বেদিক ওষুধ সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলে হাঁপানি রোগ চিরতরে নির্মূল করা সম্ভব। হাঁপানি রোগের আয়ুর্বেদিক ওষুধ খুবই সহজলভ্য এবং কার্যকরী। তাই আপনি হাঁপানি রোগের চিকিৎসা হাঁপানি রোগের আয়ুর্বেদিক ওষুধ অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন। কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়? তা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। 

হাঁপানি রোগের আয়ুর্বেদিক ওষুধ সঠিক মাত্রায় নিয়মিত কিছুদিন ব্যবহার করতে পারলে হাঁপানি রোগের প্রকোপ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে যায়। হাঁপানি রোগের আয়ুর্বেদিক ওষুধ সংগ্রহ করার জন্য আপনাকে স্থানীয় হাঁপানি রোগের আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রি করে এমন ফার্মেসিতে যেতে হবে অথবা বাকালির দোকান থেকে সংগ্রহ করতে হবে। 
চাইলে আপনি নিজে নিজেও ঔষধি গাছের বাগান থেকে হাঁপানি রোগের আয়ুর্বেদিক ওষুধ সংগ্রহ করতে পারেন। তবে হাঁপানি রোগের আয়ুর্বেদিক ওষুধ সাবান করার পূর্বে অবশ্যই আয়ুর্বেদিক ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। হাপানি প্রতিরোধের উপায় বা হাঁপানি থেকে মুক্তির উপায় এবং হাঁপানি রোগের হারবাল চিকিৎসা সম্পর্ক করে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। হাঁপানি রোগ নিরাময়ের সম্পর্কে উপরোল্লিখিত তথ্যগুলো আশাকরি আপনার ভালো লেগেছে।  ১৬৪১৩

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

নটিফিকেশন ও নোটিশ এরিয়া