bloggermomota.com
https://www.bloggermomota.com/2022/10/blog-post_72.html
টিবি রোগের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া - টিবি রোগের হোমিও চিকিৎসা
চিকিৎসার পরে টিবি রোগের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। টিবি রোগের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো যদি তেমন জটিল আকার ধারণ না করে তাহলে সমস্যা নেই। কিন্তু যদি টিবি রোগের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জটিল আকার ধারণ করে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। টিবি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা ও টিবি রোগের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম নিচে তুলে ধরা হলো।
পেজ সূচিপত্র: টিবি রোগের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া - টিবি রোগের হোমিও চিকিৎসা
টিবি রোগের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
চিকিৎসা শেষে টিবি রোগের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে। কিছু কিছু টিবি রোগের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যেগুলো খুবই সাধারন অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়। আবার কিছু কিছু টিবি রোগের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে যেগুলো দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। যাই হোক চলুন দেখে নেয়া যাক টিবি রোগের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো। টিবি রোগীর খাবার তালিকা ও টিবি রোগের টেস্ট সম্পর্ক নিচে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
টিবি রোগের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো নিম্নরূপ:
- বমি বমি ভাব এবং বমি।
- পেটে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
- বুকে এবং বুকের আশে পাশে ব্যথা।
- পাতলা পায়খানা হওয়া।
- পেশাবের পরিমানও রং পরিবর্তন।
- দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া।
- হার্টবিট বেড়ে।
- যাওয়া সহজ হত না সেরে ওঠা।
- তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়া।
- প্রস্রাবের সাথে রক্ত ঝরা।
- জ্বর এবং গলা ব্যথা।
- মাথা ঘোরা।
- অবসাদ।
- চোখ ফুলে যাওয়া।
- শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া।
টিবি রোগের হোমিও চিকিৎসা
টিবি রোগের হোমিও চিকিৎসা খুবই কার্যকরী তাই টিবি রোগ থেকে নিরাময় পেতে চাইলে আপনি টিবি রোগের হোমিও চিকিৎসা করাতে পারেন। টিবি রোগের হোমিও চিকিৎসার পাশাপাশি আপনাকে টিবি রোগের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে। চলুন দেখে নেয়া যাক টিবি রোগের হোমিও চিকিৎসা।
Kalium Carbonicum: হোমিওপ্যাথিতে টিবি রোগের জন্য এই ওষুধটি সুবিদিত। রোগী যদি অত্যাধিক পরিমাণে দুর্বল হয় এবং রোগীর ঠান্ডাজনিত সমস্যা থাকে এবং বুকে ব্যথা থাকে সেক্ষেত্রে টিবি রোগের হোমিও চিকিৎসায় এই ঔষধটি খুবই কার্যকর বলে বিবেচিত।
Lycopodium Clavatum: বিশেষ করে শিশুদের টিবি রোগ হলে এই ঔষধ কি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। রোগীর দীর্ঘদিন ধরে কাশির সমস্যা থাকে এবং বুকে জ্বালা অনুভব হয় এবং শ্বাসকষ্ট থাকে তাহলে এই ঔষধটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
Phosphorus: টিবি রোগের হোমিও চিকিৎসায় ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ হলো Phosphorus. রোগীর বুক যদি বারবার মনে হয় এবং শ্বাস নেওয়ার সময় শরীর কেঁপে ওঠে সে ক্ষেত্রে এই ঔষধটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
Pulsatilla Pratensis: বিশেষ করে নারীদের টিবি রোগের ক্ষেত্রে এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।নারীদের টিবি রোগের হোমিও চিকিৎসা করতে হলে এই ওষুধটির বিকল্প নেই। লক্ষণ অনুযায়ী মেয়েদের টিবি রোগের ক্ষেত্রে সঠিক মাত্রায় যদি এই ঔষধটি প্রয়োগ করা হয় তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই টিবি রোগ নিরাময় সম্ভব।
Spongia Tosta: টিবি রোগীর যদি শুকনো কাশি থাকে এবং সেইসাথে শরীর অত্যাধিক পরিমাণে দুর্বল হয় তাহলে এই ঔষধটি ব্যবহার করা যেতে পারে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই ঔষধটি ব্যবহার করলে খুব সহজেই টিবি রোগ নিরাময় সম্ভব। টিবি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা ও টিবি রোগের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম উপরে তুলে ধরা হয়েছে।
টিবি রোগের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
আপনি যদি টিবি রোগের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সঠিকভাবে অনুসরণ না করেন তাহলে আশানুরূপ ফলাফল নাও পেতে পারেন। তাই অবশ্যই আপনাকে টিবি রোগের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
আপনি যদি হোমিও চিকিৎসা করান তাহলে ডাক্তার আপনাকে টিবি রোগের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম বলে দেবে, আপনাকে সেই নিয়ম যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। টিবি রোগের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম এর ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না। কেননা টিবি রোগের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
টিবি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
টিবি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি বাসায় বসে টিবি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা করতে পারেন, তাহলে খুব সহজেই টিবি রোগ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। নিচে টিবি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।
কাঁচা রসুন। টিবি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসায় রসায়নের গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দুই থেকে তিন কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলে টিবি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই আপনি যদি টিবি রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে নিয়মিত কাঁচা রসুন খান।
মধু। আপনি যদি টিবি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা করতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে মধু খেতে করতে পারেন নিয়মিত মধু খেলে টিবি রোগ সেরে যায়। টিবি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসায় মধুর ব্যবহার সর্বজনবিদিত।তাই রাত্রে শোয়ার করবে গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। টিবি রোগীর খাবার তালিকা ও টিবি রোগের টেস্ট সম্পর্কে নিজে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
লবঙ্গ। নিয়মিত আলমগীর গরম গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে টিবি রোগ ভালো হয়। তাই আপনি যদি টিবি রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে নিয়মিত লবঙ্গের গুরো গরম পানির সাথে মিশ্রিত করে খেতে পারেন। টিবি রোগের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও টিবি রোগের হোমিও চিকিৎসা সম্পর্ক করে আলোচনা করা হয়েছে।
অশ্বত্থ পাতা। টিবি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসায় অশ্বত্থ পাতার ব্যবহার বহু আগে থেকেই করা হয়ে থাকে তাই আপনিও টিবি রোগ নিরাময়ে অশ্বত্থ পাতা খেতে পারেন। অশ্বত্থ পাতা খাওয়ার নিয়ম হলো ২৫০ দুধের সাথে পরিমাণমতো অশ্বত্থ পাতা গরম করে সকাল-সন্ধ্যা নিয়মিত পান করতে হবে।
আঙ্গুর। টিবি রোগীর যদি নিয়মিত ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম আঙ্গুর ফল প্রতিদিন খায়, তাহলে তা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং টিবি রোগ নিরাময়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তাই টিবি রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে নিয়মিত আঙ্গুর খেতে পারেন।
টিবি রোগীর খাবার তালিকা
টিবি রোগীর খাবার তালিকা নিচে তুলে ধরা হবে। টিবি রোগীর খাবার তালিকা অনুসরণ করেই খাবার খেতে হয়। কেননা টিবি ক্ষয় জনিত রোগ। তাই টিবি রোগের ক্ষেত্রে সুষম খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টিবি রোগীর খাবার তালিকা অনুসারে, দৈনন্দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জানুয়ারি ভিটামিন ও অন্যান্য উপাদান নিয়মিত খেতে হয়। নিচে টিবি রোগীর খাবার তালিকা তুলে ধরা হলো।
ক্যালরিযুক্ত খাবার। টিবি রোগীর ওজন যেহেতু ক্রমশই কমে যেতে থাকে তাই তাদের প্রয়োজন ক্যালরিযুক্ত খাবার বিশেষ করে টিবি রোগীর খাবার তালিকায় যে সকল খাবার রাখা বাঞ্ছনীয় সেগুলো হলো: কলা, বাদাম, দুধ ইত্যাদি।
সবুজ শাকসবজি। সবুজ শাক সবজিতে রয়েছে সব ধরনের ভিটামিন যা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সবুজ শাক সবজির বিকল্প নেই। তাই টিবি রোগীর খাবার তালিকায় সবুজ শাকসবজি রাখতে হবে।
ভিটামিনযুক্ত খাবার। ভিটামিন এ ভিটামিন বি' ভিটামিন ই সহ অন্যান্য ভিটামিনসমৃদ্ধ খবরগুলো টিবি রোগীর খাবার তালিকায় অবশ্যই রাখতে হবে। কেননা এসকল ভিটামিন যুক্ত খাবার খেলে রোগের শরীরের ঘাটতি পূরণ হবে। টিবি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা ও টিবি রোগের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রোটিন যুক্ত খাবার। প্রোটিনযুক্ত খাবার টিবি রোগীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে সকল খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যেমন: পনির, সোয়া, ডিম ইত্যাদি এই খাদ্যগুলো অবশ্যই টিবি রোগীর খাবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
জিংক যুক্ত খাবার। শরীরের ক্ষয়পূরণ জিংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই টিবি রোগীর খাবার তালিকায় জিংক জাতীয় খাবার রাখা উচিত। জিংক জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো: ফলে চিয়া সিড, কুমড়োর বীজ ইত্যাদি।
টিবি রোগের টেস্ট
যদি কারো মাঝে টিবি রোগের লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই তার উচিত হবে টিবি রোগের টেস্ট করানো। সরকার থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে টিবি রোগের টেস্ট এবং চিকিৎসা করা হয়। তাই টিবি রোগের টেস্ট করানোর জন্য আপনাকে অতিরিক্ত কোনো টাকা-পয়সা খরচ করতে হবে না। এমনকি বিভিন্ন এনজিও থেকেও টিবি রোগের টেস্ট করানো হয়।
টিবি রোগের টেস্ট করানোর জন্য আপনি আপনার নিকটস্থ এমন কোন সংস্থার কাছে যেতে পারেন যারা টিবি রোগের টেস্ট করায়। টিবি রোগের টেস্ট করার পরে যদি আপনার টিবি রোগ ধরা পড়ে তাহলে সার্ভার থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা করবে। টিবি রোগের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও টিবি রোগের হোমিও চিকিৎসা সম্পর্ক উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ১৬৪১৩
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন