bloggermomota.com https://www.bloggermomota.com/2022/10/blog-post_69.html

জ্বর কেন হয় ইসলাম কি বলে? - জ্বর কমানোর দোয়া

জ্বর কেন হয় ইসলাম কি বলে? জ্বর সম্পর্কে রাসুল (সা) বলেন, জ্বর উৎপত্তি হয় জাহান্নামের আগুনের তাপ থেকে, তাই পানি দিয়ে তোমরা জ্বর ঠান্ডা করো। জ্বর কেন হয় ইসলাম কি বলে? সে ব্যাপারে নিচে আরও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। চলুন দেখে নেয়া যাক, জ্বর কেন হয় ইসলাম কি বলে? ঠাণ্ডা থেকে মুক্তির দোয়া নিচে তুলে ধরা হলো।

পেজ সূচিপত্র: জ্বর কেন হয় ইসলাম কি বলে? - জ্বর কমানোর দোয়া

জ্বর কেন হয় ইসলাম কি বলে? - জ্বর কমানোর দোয়া: উপস্থাপনা

রোগব্যাধি আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। তাই যখন আপনি কোন রোগে আক্রান্ত হবেন তখন রোগমুক্তির জন্য দোয়া পাঠ করা আপনার একান্ত কর্তব্য। যদি আপনি আপনার অসুস্থতার সময় আল্লাহর কাছে রোগ মুক্তির দোয়া করেন তাহলে খুব দ্রুত আল্লাহতালা ওনাকে অসংখ্য করে দিতে পারেন। 

ইসলাম হলো পরিপূর্ণ জীবন বিধান। মানব জীবনের ছোট-বড় সব সমস্যার সমাধান ইসলামে রয়েছে। রোগ ব্যাধি থেকে শুরু করে যত ধরনের সমস্যা আমাদের প্রতিদিনের জীবনের নিত্য সঙ্গী, সেই সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য আমাদের উচিত ইসলামের শরণাপন্ন হওয়া। 

যেমন আপনার যদি জ্বর হয় তাহলে আপনি জ্বর কমানোর দোয়া করতে পারেন এবং নির্দিষ্ট কিছু আমল করতে পারেন সেই আমন কোন করলে জ্বর ভালো হবে ইনশাআল্লাহ। জ্বর কেন হয় ইসলাম কি বলে? তা নিচে উল্লেখ করা হলো। 

জ্বর কেন হয় ইসলাম কি বলে?

জ্বর কেন হয় ইসলাম কি বলে? যার সম্পর্কে ইসলামের যে সকল বিধি বিধান রয়েছে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হবে। জ্বর কেন হয়? সে সম্পর্কে যে সকল হাদীস রয়েছে সেই হাদিস গুলো নিচের বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো। জ্বর কমানোর দোয়া এবং ঠাণ্ডা থেকে মুক্তির দোয়া জানতে চাইলে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

জ্বর কেন হয় ইসলাম কি বলে?: হাদিস ১
জাবির রাদিয়াল্লাহু "আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একদিন উম্মুস সায়িব কিংবা উম্মুল মুসায়্যিব (রাঃ) নিকটে প্রবেশ করলেন। তিনি তাকে বললেন, "তোমার কি হয়েছে হে উম্মুস সায়িব অথবা উম্মুল মুসায়্যিব! এতো নড়াচড়া করছ কেন?" তিনি বললেন, ভীষণ জ্বর। আল্লাহতায়ালা যাওয়ার কে ধ্বংস করে দিন। তখন তিনি বললেন, "তুমি জ্বরকে দোষারোপ করো না। কেননা জ্বর আদম সন্তানের গুনাহসমূহ মোচন করে দেয়, যেভাবে কামারের হাঁপর লোহার মরিচা দূরীভূত করে।" (সহিঃ মুসলিম)

জ্বর কেন হয় ইসলাম কি বলে?: হাদিস ২
"আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ জ্বর হয় জাহান্নামের তাপ থেকে। আর তাই তোমরা পানি দিয়ে তা ঠান্ডা কর। (সহীহ বুখারী ৩২৬৩)
জ্বর কেন হয় ইসলাম কি বলে?: হাদিস ৩
ফাতিমাহ বিনত্ মুনযির (রহ.) থেকে বর্ণিত যে, আসমা বিনত আবূ বকর (রাঃ) এর নিকট যখন কোন জ্বরে আক্রান্ত মহিলা লোককে তার নিকট চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হতো , তখন তিনি পানি হাতে নিয়ে সেই স্ত্রীলোকটির জামার ফাঁক দিয়ে তার গায়ে ছিটিয়ে দিতেন এবং বলতেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নির্দেশ করতেন, আমরা যেন পানির সাহায্যে জ্বরকে ঠান্ডা করি। (সহীহ বুখারী ৫৭২৪)

উপরোল্লিখিত হাদিসগুলো থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, জ্বর জাহান্নামের আগুনের উত্তাপ এর মধ্য থেকে মানুষের কাছে আসে। তাই জাহান্নামের এই উত্তাপ নিষ্ক্রিয় করার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে পানি ব্যবহার করতে নির্দেশ প্রদান করেছেন। 

আপনি যদি কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে জ্বর নিরাময়ের উপায় জানতে চান, তাহলে ডাক্তার কিন্তু আপনাকে একই পরামর্শ দিবে। অর্থাৎ ডাক্তার আপনাকে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর মাথায় জলপট্টি দিতে বলবে এবং মাথায় পানি দিতে বলবে। সুতরাং একথা স্পষ্ট যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চৌদ্দশত বছর পূর্বে যে সকল নির্দেশ প্রদান করেছেন, তার সবগুলোই বৈজ্ঞানিকভাবে সম্পূর্ণ সঠিক এবং নির্ভুল। 

বিশেষ করে বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশনা প্রদান করেছেন আমরা যদি সেই নির্দেশনা গুলো সঠিকভাবে পালন করতে পারি, তাহলে খুব সহজেই যে কোন রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হব। আমরা সব সময় আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলএর(সাঃ) নির্দেশ গুলো মেনে চলার চেষ্টা করব। তাহলে ইহকাল আমাদের জন্য কল্যাণকর হবে এবং পরকাল হবে প্রশান্তিময়।

জ্বর কমানোর দোয়া

জ্বর সাধারন একটি রোগ। মাঝে মাঝেই আমরা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ি। জ্বরে আক্রান্ত হলে আপনি জ্বর কমানোর দোয়া পাঠ করতে পারেন। জ্বর কমানোর দোয়া পাঠ করলে আশা করা যায় আপনি জ্বর থেকে মুক্তি লাভ করতে পারবেন। তবে আপনাকে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে তা হলো জ্বর কমানোর দোয়া পাঠ করার পাশাপাশি আপনাকে জ্বরের চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। কেননা রোগ হলে চিকিৎসা গ্রহণ করা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত।

তাই আপনি ঔষধ গ্রহন করবেন এবং জ্বর কমানোর দোয়াও পাঠ করবেন আর আল্লাহ তায়ালার নিকট রোগমুক্তির জন্য প্রার্থনা করবেন। আশা করা যায় এই আমল গুলো সঠিক ভাবে করতে পারলেই আপনি খুব দ্রুত জ্বর থেকে আরোগ্য লাভ করবেন। 

জ্বর কমানোর দোয়া আরবি:

بِسْمِ اللَّهِ الْكَبِيرِ أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ مِنْ شَرِّ عِرْقٍ نَعَّارٍ وَمِنْ شَرِّ حَرِّ النَّارِ 

জ্বর কমানোর দোয়া বাংলা উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল কাবির, আউজুবিল্লাহিল আজিমি মিন শাররি কুল্লি ইরকিন না’আর, ওয়া মিন শাররি হাররিন নার।
জ্বর কমানোর দোয়া বাংলা অর্থ: মহান আল্লাহ তায়ালার নামে আমি আল্লাহ তাআলার নিকট আশ্রয় কামনা করছি প্রবল প্রবাহমান রক্তচাপের আক্রমণ থেকে এবং জাহান্নামের জ্বলন্ত লেলিহান আগুনের ক্ষতি থেকে। (তিরমিজি : ২০৭৫)

উপরে বর্ণিত জ্বর কমানোর দোয়া যদি আপনি মুখস্ত রাখতে পারেন, তাহলে যখন আপনি জ্বরে আক্রান্ত হবেন খুব সহজেই দোয়া পাঠ করতে পারবেন। 

ঠাণ্ডা থেকে মুক্তির দোয়া

নিচে ঠাণ্ডা থেকে মুক্তির দোয়া উল্লেখ করা হবে। নিচে যে দোয়া উল্লেখ করা হবে তা শুধুমাত্র ঠাণ্ডা থেকে মুক্তির দোয়া নয়। নিম্নবর্ণিত দোয়াটি যে কোন রোগের ক্ষেত্রে আপনি পাঠ করতে পারেন। যে কোন রোগে নিম্নোক্ত দোয়াটি পাঠ করলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে পারবেন। 

ঠাণ্ডা থেকে মুক্তির দোয়া আরবি:
اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ مُذْهِبَ الْبَاسِ اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شَافِيَ إِلاَّ أَنْتَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا

ঠাণ্ডা থেকে মুক্তির দোয়া বাংলা উচ্চারণ: 
আল্লাহুম্মা রাব্বান-নাসি মুজহিবাল বা’সি, ইশফি আনতাশ-শাফি, লা শাফি ইল্লা আনতা শিফায়ান লা য়ুগাদিরু সুকমা।

ঠাণ্ডা থেকে মুক্তির দোয়া বাংলা অর্থ:
হে আল্লাহ! মানবজাতির প্রতিপালক, কষ্ট দূরকারী। আমাকে আরোগ্য দিন, আপনি আরোগ্যকারী; আপনি ছাড়া কোনো আরোগ্যকারী নেই। এমন আরোগ্য দিন যেন কোনো রোগ অবশিষ্ট না থাকে। 
উপরে বর্ণিত ঠাণ্ডা থেকে মুক্তির দোয়া আপনি মুখস্ত করে রাখতে পারেন তাহলে যখন ঐ অপনার ঠান্ডাজনিত সমস্যা দেখা দিবে তখন এই দোয়াটি পাঠ করতে পারবেন। এবং যদি আপনার আশেপাশে কেউ ঠান্ডায় আক্রান্ত হয় তাহলে তাকেও এই দোয়াটি শেখাতে পারবেন। 

জ্বর কেন হয় ইসলাম কি বলে? - জ্বর কমানোর দোয়া: উপসংহার

জ্বর কেন হয় ইসলাম কি বলে? সে বিষয় সম্পর্কেও পড়েছে সকল তথ্য গুলো তুলে ধরা হয়েছে আশা করি সেই তথ্যগুলো আপনার ভালো লেগেছে। উপরে বর্ণিত ঠাণ্ডা থেকে মুক্তির দোয়া এবং জ্বর কমানোর দোয়া গুলো শিখে রাখলে তা রোগের সময় কাজে লাগবে। একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমাদেরকে ইসলামিক পৃথিবী দিনগুলো ভালোভাবে জেনে তা অনুসরণ করা উচিত। ১৬৪১৩

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

নটিফিকেশন ও নোটিশ এরিয়া