bloggermomota.com
https://www.bloggermomota.com/2022/10/blog-post_64.html
গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম - গর্ভবতী মায়ের বসার নিয়ম
গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম অনুসরণ করে গর্ভবতী মায়েদের ঘুমানো উচিত। সঠিক নিয়মে না ঘুমালে গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। নিচে গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম ও গর্ভবতী মায়ের বসার নিয়ম তুলে ধরা হলো।
পেজ সূচিপত্র: গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম - গর্ভবতী মায়ের বসার নিয়ম
- পেজ সূচিপত্র: গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম - গর্ভবতী মায়ের বসার নিয়ম: উপস্থাপনা
- গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম
- গর্ভবতী মায়ের বসার নিয়ম
- গর্ভবতী মায়ের কি কি সমস্যা হতে পারে?
- গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা
- গর্ভবতী মায়ের প্রথম চার মাসের সতর্কতা
- গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম - গর্ভবতী মায়ের বসার নিয়ম: শেষ কথা
পেজ সূচিপত্র: গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম - গর্ভবতী মায়ের বসার নিয়ম: উপস্থাপনা
গর্ভবতী নারীদের কে সবসময় সতর্ক অবস্থায় থাকতে হয়। সামান্য অবহেলার কারণে অনেক সময় বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যায়। তাই অবশ্যই গর্ভবতী নারীদের কে সব ধরনের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। গর্ভধারণের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কিভাবে আপনি নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।
গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম
গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই অবশ্যই আপনাকে এসব ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। বিশেষ করে ঘুমের মধ্যে যদি পেটের মধ্যে কোন ধরনের সমস্যা হয়, তাহলে কিন্তু তা গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম নিম্নরূপ।
বাম কাতে ঘুমানো। চিকিৎসকগণ গর্ভবতী মায়েদেরকে বাম পাসে কাত হয়ে ঘুমানো দিয়ে থাকেন। কেননা বাম পাসে কাত হয়ে শুলে পেটের উপরে চাপ পড়ে না এবং সারা শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে। তাই গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম হলো বাম কাতে ঘুমানো। গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা এবং গর্ভবতী মায়ের কি কি সমস্যা হতে পারে? তা নিচে তুলে ধরা হয়েছে।
মাথায় এবং পায়ের বালিশ ব্যবহার করা। গর্ভবতী মায়েদের উচিত হলো মাথায় এবং পায়ে বালিশ ব্যবহার করা। এতে করে শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকে। বিধায় রক্তসঞ্চালনে কোন ধরনের সমস্যা হয়না। গর্ভবতী নারীদের শরীরে স্বাভাবিক ভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে না পারলে গর্ভস্থ শিশুর অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো। করা হচ্ছে নারীদেরকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। কেননা যদি ঠিকমত না হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সকাল সকাল ঘুমাতে যেতে হবে এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হবে। দৈনিক কমপক্ষে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
দুই পায়ের মাঝখানে পালিশ রাখা। গর্ভবতী মায়েরা পাশ ফিরে ঘুমানোর সময় দুই পায়ের মাঝখানে বালিশে রাখতে পারেন। এতে করে পেটের উপরের চাপ কম পড়বে এবং ঘুম আরামদায়ক হবে। গর্ভবতী মায়ের প্রথম চার মাসের সতর্কতা এবং গর্ভবতী মায়ের কি কি সমস্যা হতে পারে? সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
চিত বা উপুর হয় না ঘুমানো। গর্ভাবস্থায় চিত বা উপুর হয়ে ঘুমানো উচিত নয়। চিৎ হয়ে ঘুমালে জরায়ুতে চাপ পড়তে পারে, যা আপনার গর্ভস্থ সন্তানের জন্য ক্ষতিকর। আর উপর হয়ে যদি ঘুমান তাহলে আপনার বাচ্চার শরীরে চাপ পড়তে পারে, যা গর্ভস্থ সন্তানের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
গর্ভবতী মায়ের বসার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় সবকিছুই নিয়ম মেনে করতে হয়। ব্যতিক্রম হলেই সমস্যা হতে পারে মা এবং গর্ভস্থ শিশু উভয়েরই। গর্ভবতী মায়ের বসার নিয়মও রয়েছে। আপনি যদি গর্ভবতী মায়ের বসার নিয়ম অনুসরণ না করেন, তাহলে কিন্তু গর্ভস্থ সন্তানের সমস্যা হতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে গর্ভবতী মায়ের বসার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। নিচে গর্ভবতী মায়ের বসার নিয়ম তুলে ধরা হলো।
পিঠ সোজা করে বসা। গর্ভবতী মায়ের বসার নিয়ম হলো পিঠ সোজা করে বসতে হবে এবং উভয় নিতম্ব সমানভাবে চেয়ারের তলায় রাখতে হবে এবং খুব আস্তে বসতে হবে আবার উঠার সময় আস্তে করে উঠতে হবে। গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম সম্পর্ক করে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
মেঝেতে বসার সময় হাটু ফেলে রাখুন। আপনি যখন মেঝেতে বসবেন তখন অবশ্যই আপনাকে উভয় পা বিছিয়ে বসতে হবে, যেন পেটের উপরে কোন ধরনের চাপ না পড়ে। সরাসরি শক্ত মেঝেতে না বাসাই ভালো, এতে পশ্চাৎদেশে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
পায়ের পাতার ব্যায়াম করা। অনেকক্ষণ একটানা যদি আপনাকে কোথাও বসে থাকতে হয় তাহলে স্থির হয়ে বসে না থেকে পায়ের পাতার ব্যায়াম করতে পারেন। এতে করে পায়ে ঝিনঝিন অনুভূত হবে না এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
পা টুলের ওপরে রাখা। চেয়ারে বসার সময় অবশ্যই পদ্ধতি একটি উঁচু টুলের মধ্যে রাখবেন। কখনোই সরাসরি পানে চেয়ে রাখবেন না এতে করে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই সমস্যা এড়ানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
দীর্ঘ সময় বসে না থাকা। গর্ভবতী মায়ের বসার নিয়ম সমূহের মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হলো দীর্ঘ সময় একই জায়গায় স্থির হয়ে বসে না থাকা। কখনোই একটানা অনেকক্ষণ বসে থাকবেন না।কিছুক্ষণ পর পর উঠে দাঁড়ান এবং একটু হাঁটাহাঁটি করে আবার বসুন।
গর্ভবতী মায়ের কি কি সমস্যা হতে পারে?
গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের কি কি সমস্যা হতে পারে? তা নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে।কিছু কমন সমস্যা রয়েছে যা সাধারণত গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে প্রকাশ পেতে পারে। গর্ভাবস্থায় সাধারণত যে সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো। চলুন দেখে নেয়া যাক গর্ভবতী মায়ের কি কি সমস্যা হতে পারে?
গর্ভবতী মায়ের কি কি সমস্যা হতে পারে?: তা নিম্নরূপ
- বমি বমি ভাব।
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা।
- কোমর ব্যথা।
- পা ফুলে যাওয়া।
- গায়ে পানি ধরা।
- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হওয়া।
- ক্ষেত্রবিশেষে পাইলসের সমস্যা হওয়া।
- সাদা স্রাব।
- পেটে সামান্য ব্যথা।
- দুশ্চিন্তা।
গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা
গর্ভবতী নারীদেরকে অবশ্যই গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা গুলো মেনে চলতে হবে।কেননা, গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা গুলো মেনে না চললে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমনকি গর্ভপাত পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।
তাই অবশ্যই আপনাকে গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা গুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে মেনে চলতে হবে। নিচে গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা গুলো উল্লেখ করা হলো। গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম সম্পর্কে উপরে বিস্তর আলোচনা করা হয়েছে।
ভারি কোন কিছু উঁচু করবেন না। গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। এবং কোন ধরনের ভারী কোনো জিনিস উঁচু করা যাবে না। বিশেষ করে প্রথম তিন মাস আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। ভারী জিনিস উঠানামার করলে মিসক্যারেজ হতে পারে।
দুশ্চিন্তা করবেন না। গর্ভবতী হওয়ার কারনে আপনার শারীরিক এবং মানসিক কিছু পরিবর্তন ঘটতে পারে এতে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। কেননা এটা স্বাভাবিক বিষয়। বিশেষ করে আপনার শারীরিক ও অভ্যাসগত কিছু পরিবর্তন করতে পারে। যেমন আগের তুলনায় বেশি বাথরুমে যাবার প্রয়োজন পড়তে পারে। সুতরাং এই পরিবর্তনগুলোর কারণে কখনোই দুশ্চিন্তা করবেন না। তবে আপনার কাছে যদি কোন কিছু অস্বাভাবিক মনে হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি খান। গর্ভবতী হওয়ার পর প্রথম তিন মাস খাবার রুচি কমে যেতে পারে। তবে খাবার রুচি কমে গেলেও আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খেতে হবে। কেননা, এ সময় আপনার শরীরে অনেক বেশি পুষ্টির প্রয়োজন। বিশেষ করে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে। শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। যা আপনার এবং আপনার গর্ভস্থ সন্তানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিভিন্ন ভিটামিন জাতীয় ঔষধ সেবন করুন। রেজিস্টার্ড ডাক্তার কিংবা কমিউনিটি ক্লিনিকের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও জিংক ট্যাবলেট নিয়মিত সেবন করুন। গর্ভবতী মায়ের কি কি সমস্যা হতে পারে? সে সম্পর্ক করে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
হাটাচলা করুন। সব সময় বসে না থেকে দিনের কিছু অংশ হাঁটাহাঁটি করুন। বিশেষ করে সকালে এবং বিকেলে আস্তে আস্তে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। তবে অবশ্যই সতর্ক হয়ে হাঁটতে হবে। যেন কখনোই আপনি পড়ে না যান। কেননা পড়ে গেলে আপনার গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।
উপরে উল্লেখিত গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা গোলাম যথাযথ অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি এবং আপনার গর্ভস্থ সন্তান নিরাপদ থাকতে পারবেন। নিচে গর্ভবতী মায়ের প্রথম চার মাসের সতর্কতা গুলো তুলে ধরা হবে।
গর্ভবতী মায়ের প্রথম চার মাসের সতর্কতা
উপরে বর্ণিত গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা গুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করার পাশাপাশি নিম্নবর্ণিত গর্ভবতী মায়ের প্রথম চার মাসের সতর্কতা গুলো অনুসরণ করা জরুরি। গর্ভস্থ সন্তান দিনে দিনে বৃদ্ধি পায় তাই গর্ভবতী মায়ের প্রথম চার মাসের সতর্কতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে গর্ভবতী মায়ের প্রথম চার মাসের সতর্কতা গুলো উল্লেখ করা হলো।
গর্ভবতী মায়ের প্রথম চার মাসের সতর্কতা গুলো নিম্নরূপ:
- অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন জাতীয় দ্রব্য পরিহার করুন।
- রাত জাগা ছেড়ে দিন।
- পোষা প্রাণী থেকে দূরে থাকুন।
- অত্যাধিক ও অনিরাপদ যৌন মিলন পরিহার করুন।
- অল্প রান্না করা মাংস খাবেন না।
- দিনে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমান।
- হালকা ব্যায়াম করুন।
- পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন।
- বাচ্চার হার্টবিট ও অবস্থান পরীক্ষা করুন।
- ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।
উপরে গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা এবং গর্ভবতী মায়ের প্রথম চার মাসের সতর্কতা সম্পর্কে যে সকল তথ্য তুলে ধরা হলো সেগুলো অবশ্যই আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। উপরে গর্ভবতী মায়ের কি কি সমস্যা হতে পারে? সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম - গর্ভবতী মায়ের বসার নিয়ম: শেষ কথা
গর্ভবতী মায়ের কি কি সমস্যা হতে পারে? সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের কে অবশ্যই গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা এবং গর্ভবতী মায়ের প্রথম চার মাসের সতর্কতা গুলো মেনে চলতে হবে। সব ধরনের সর্তকতা অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি নিজে সুস্থ থাকতে পারবেন এবং আপনার গর্ভস্থ সন্তানকে সুস্থ রাখতে পারবেন। ১৬৪১৩
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন