bloggermomota.com https://www.bloggermomota.com/2022/10/blog-post_54.html

কাশি হলে করনীয় কি? - কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না?

কাশি হলে করনীয় কি? কাশি হলে আপনাকে বেশ কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হবে। কাশি হলে করনীয় কি? সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না তা জানতে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ুন। চলুন দেখে নেয়া যাক কাশি হলে করনীয় কি?

পেজ সূচিপত্র: কাশি হলে করনীয় কি? - কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না?

কাশি হলে করনীয় কি? - কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না?: ভূমিকা

অনেক সময় দেখা যায় অনেকের কাশি সহজে ভালো হয়না। দীর্ঘদিন কাশি থাকলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কাশির চিকিৎসা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদি দীর্ঘদিন আপনার কাশি জনিত সমস্যা থাকে তাহলে পরবর্তীতে সেই সমস্যার কারণে যক্ষ্মাসহ আরো বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ দেখা দিতে পারে। তাই অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব কাশির চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। 

কাশি হলে করনীয় কি?

প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান রয়েছে যেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করলে কাশি নির্মূল করা সম্ভব। কাশি হলে করনীয় কি? সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হবে। কাশি নিরাময় করার জন্য নিচের যে সকল পদ্ধতি তুলে ধরা হবে সেগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারলে কাশি নিরাময় করতে পারবেন। চলুন দেখে নেয়া যাক কাশি হলে করনীয় কি?

অনেকেই কাশি হওয়ার সাথে সাথেই এন্টিবায়োটিক ঔষধ গ্রহন করেন, মূলত এমনটি করা উচিত নয়।প্রথমে এন্টিবায়োটিক ঔষধ না খেয়ে ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে তা অনুসরণ করা উচিৎ। কেননা অধিকাংশ কাশি ঘরোয়া চিকিৎসায় সেরে ওঠে। 

তাই কাশি হওয়ার সাথে সাথেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। কাশি হলে করনীয় কি? আশা করি এই প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। নিচে কাশি ভালো না হওয়ার কারণ, রাতে কাশি কমানোর উপায় এবং কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো। 

কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না? 

কিছু কিছু খাবার রয়েছে যা সবাইকে কাশির সময় খাওয়া উচিত নয়। কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না? তা নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে। নিজের যেসকল খাবারের কথা উল্লেখ করা হবে অবশ্যই আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে তা না হলে আপনি কাশির প্রকোপ থেকে মুক্তি পাবেন না। 

চর্বিযুক্ত খাবার। কাশি হলে অবশ্যই আপনাকে সব ধরনের চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। কেননা, চর্বিযুক্ত খাবার খেলে কাশির প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই অবশ্যই কাশির সময় চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করবেন। কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না? অবশ্যই কাশি হলে চর্বিযুক্ত খাবার খাবেন না। 

ঠান্ডা ও বাসি খাবার। কাশি হলে সব ধরনের ঠান্ডা ও পচা বাসি খাবার পরিহার করতে হবে। পচা বাসি খাবার খেলে কাশি কখনোই ভালো হবেনা। তাই অবশ্যই সেগুলো তা এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে আইসক্রিম বা এ জাতীয় ঠান্ডা কভার একেবারেই খাওয়া যাবেনা। 
প্রসেসড ফুড। কাশি হলে প্রসেসড ফুড না খাওয়াই উচিত কেননা প্রসেস খেলে কাজের মাত্রা বেড়ে যায় এবং কাশি সহজে ভালো হয়না। তাই যথাসম্ভব কাশির সময় প্রস্তুতকৃত খাবার পরিহার করবেন।এতে করে কাশির উপকার হবে। 

ভাজা খাবার। কাশির সময় ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার পরিহার করা উচিত কেননা ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খেলে গলার শুকনা থাকে যা কাশির জন্য ক্ষতির কারণ তা অবশ্যই আপনাকে সব ধরনের ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করতে হবে।

ক্যাফিনযুক্ত পানীয়। যে সকল ড্রিংকে ক্যাফিন যুক্ত রয়েছে যেমন চা-কফি ইত্যাদি কাশির সময় সাধারণত এগুলো পরিহার করা উচিত। কেননা ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় খেলে কাশির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না? আশা করি এই প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। কাশি হলে করনীয় কি? বা কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না? ইতোমধ্যেই উল্লেখ করা হয়েছে। কাশি ভালো না হওয়ার কারণ গুলো নিচে তুলে ধরা হলো। 

কাশি ভালো না হওয়ার কারণ

কাশি ভালো না হওয়ার কারণ অনেক রয়েছে। সাধারণত যে সকল কারনে সহজে কাশি ভালো হয় না সেগুলো নিচে তুলে ধরা হবে। চলুন দেখে নেয়া যাক কাশি ভালো না হওয়ার কারণ। নিচে কাশি ভালো না হওয়ার কারণ, রাতে কাশি কমানোর উপায় এবং কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায় খোলা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো। 

কাশি উদ্রেককারী  ঔষধ সেবন। যথাযথ চিকিৎসা করার পরেও অনেক সময় কাশি ভালো হয় না এর পেছনে কী কারণ? সঠিক চিকিৎসা করার পরেও কাছে ভালো না হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো কাশি উদ্রেককারী অসুধ সেবন করা। অর্থাৎ রোগী অন্য কোনো রোগের কারণে যদি কোন ঔষধ সেবন করে আর সেই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে যদি কাশির উদ্যোগ হয় তাহলে কখনোই পাশে ভালো হবে না। 

রিফ্ল্যাক্স স্লিপ অ্যাপনিয়া। খাদ্যনালী এবং পাকস্থলীর রিফ্ল্যাক্স স্লিপ অ্যাপনিয়া হতে পারে কাশি ভালো না হওয়ার অন্যতম একটি কারণ। তাই যদি দীর্ঘদিন ধরে কাশি চলতে থাকে এবং কোনো ওষুধেই কাছে ভালো না হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। রিফ্ল্যাক্স স্লিপ অ্যাপনিয়া কাশি ভালো না হওয়ার কারণ গুলোর মধ্যে একটি। 

বরফ যুক্ত খাবার খাওয়া। ঠান্ডা দই কিংবা আইসক্রিম খেলে কাশির কোন ঔষধ কাজ করবেনা।সুতরাং অবশ্যই আমাকে যে কোন ধরনের ঠান্ডা জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। বরফ যুক্ত খাবার খাওয়া কাশি ভালো না হওয়ার কারণ সমূহের মধ্যে একটি। কাশি হলে করনীয় কি? বা কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না? তা উপরে তুলে ধরা হয়েছে। নিচে রাতে কাশি কমানোর উপায় এবং কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। 
স্টেরয়েডের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে। অনেক সময় পোস্টন্যাসাল ড্রিপের লক্ষণ প্রকাশ পায় না কিন্তু এ কারণে কাশি দীর্ঘদিন থেকে যেতে পারে। এবং অনেক সময় অ্যাজমার লক্ষণ দেখা দিতে পারে তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। 

মানসিক সমস্যার কারণে। অনেক সময় কাশি ভালো না হওয়া কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। ডাক্তারগণ এই অবস্থায় বলেন মানসিক সমস্যার কারণে কাশি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। কেননা মানসিকভাবে খুব দুশ্চিন্তায় থাকলে অনেক সময় কাশি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। মাসি ভাবে দুশ্চিন্তা করো কাশি ভালো না হওয়ার কারণ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ।

রাতে কাশি কমানোর উপায় - কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায়

মধু। রাত্রে নিয়মিত কিছুদিন গরম পানির সাথে মধু মিশ্রিত করে খেলে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়।কাশি নিয়ন্ত্রণে বহু কাল থেকেই মধুর ব্যবহার হয়ে আসছে। সময়টা নষ্ট হয়ে গেল প্রাচীন এই পদ্ধতিতে অনুসরন করে খুব সহজেই অবনীর কাশি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। নিয়মিত মধু সেবন করা রাতে কাশি কমানোর উপায় বা কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্য থেকে অন্যতম একটি উপায়।

বাসক পাতা। বাসক পাতা খুবই ঔষধি গুণসম্পন্ন একটি পাতা। আপনি যদি নিয়মিত কিছুদিন বাসক পাতার রস গরম পানিতে মিশ্রিত করে খেতে পারেন, তাহলে অবশ্যই আপনার কাশি দূরীভূত হয়ে যাবে। কাশি দূর করতে বাসক পাতার কার্যকারিতা সর্বজনবিদিত। 

গরম দুধের সহিত হলুদের মিশ্রণ। রাতে কাশি কমানোর উপায় বা কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায় হিসেবে আপনি গরম দুধের সাথে হলুদের মিশ্রণ মিশ্রিত করে নিয়মিত কিছুদিন খেতে পারেন।এভাবে নিয়মিত কিছুদিন খেলে আশা করা যায় কাশি থেকে মুক্তি পাবেন।
তুলসী পাতা। তুলসী পাতার রস নিয়মিত সেবন করা কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। তুলসী পাতার রস রাতে কাশি কমানোর উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। 

আদা। কাশি নিরাময় আদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি যদি কাঁচা আদা কিংবা শুকনো আদার কুচি গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে কাশি দূর হয়ে যাবে। আদা সেবন করা রাতে কাশি কমানোর উপায় বা কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপায়।

কাশি হলে করনীয়? - কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না?: শেষ কথা

কাশি হলে করনীয়, কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না?, কাশি ভালো না হওয়ার কারণ, রাতে কাশি কমানোর উপায় এববং কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে উপরে যে সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে আশা করি সেই তথ্যগুলো আপনার উপকারে আসবে। ১৬৪১৩

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

নটিফিকেশন ও নোটিশ এরিয়া