bloggermomota.com
https://www.bloggermomota.com/2022/10/blog-post_48.html
গর্ভবতী মায়ের আমল - গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কি আমল?
গর্ভবতী মায়ের আমল ও করণীয় কাজ সম্পর্কে এ আর্টিকেলে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। গর্ভবতী মায়ের আমল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কি আমল করতে হবে? সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। চলুন দেখে নেয়া যাক গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া।
পেজ সূচিপত্র: গর্ভবতী মায়ের আমল - গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কি আমল?
গর্ভবতী মায়ের আমল - গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কি আমল?: ভূমিকা
গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী নারীদের বিশেষ আমল করতে হয়। এই আমল গুলো সঠিকভাবে করতে পারলে গর্ভস্থ সন্তান নেক সন্তান হয়। আর আমার গুলো সঠিকভাবে পালন না করলে গর্ভস্থ সন্তান নেক সন্তান নাও হতে পারে। তাই অবশ্যই গর্ভবতী মায়েদের উচিত হলো, সময় মতো সব ধরনের আমল করা। এবং দোয়া গুলো পাঠ করা। গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কি আমল করতে হয় এবং গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।
গর্ভবতী মায়ের আমল - গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কি আমল করতে হয়?
গর্ভবতী মায়ের আমল সম্পর্কে সরাসরি কোনো নির্দেশনা কোরআন হাদিসে উল্লেখ করা হয়নি এবং গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কি আমল করতে হয়? সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য উল্লেখ করা নেই।
তবে গর্ভাবস্থা যেহেতু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়, তাই এই সময় অবশ্যই আপনাকে কিছু বিষয় পরিহার করতে হবে এবং কিছু আমল করতে হবে। চলুন দেখে নেয়া যাক গর্ভবতী মায়ের আমল বা গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কি আমল করতে হয়?
নারীদের গর্ভধারণ করাটাই সবচেয়ে বড় একটি আমল এ ব্যাপারে হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, তোমাদের কেউ কি এই বিষয়টিতে সন্তুষ্ট নয় যে, সে যখন স্বামীর মাধ্যমে গর্ভবতী হয় এবং তার স্বামী ও তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকে তখন (গর্ভকালীন সময় কালে) সে আল্লাহর পথে সর্বদা রোজা পালনকারী ও সারারাত নফল ইবাদতকারীর মতো সওয়াব পাবে? তার যখন প্রসব ব্যথা শুরু হয় তখন তার জন্য নয়ন শীতলকারী কী কী নিয়ামত লুকিয়ে রাখা হয়, তা আসমান জমিনের কোনো অধিবাসীই জানে না। সে যখন সন্তান প্রসব করে তখন তার দুধের প্রতিটি ফোঁটার পরিবর্তে একটি করে নেকি দেওয়া হয়। এ সন্তান যদি কোনো রাতে তাকে জাগিয়ে রাখে (অসুখ ইত্যাদির কারণে বিরক্ত করে মাকে ঘুমুতে না দেয়) তাহলে সে আল্লাহর পথে নিখুঁত সত্তরটি গোলাম আযাদ করার সওয়াব পাবে। (তাবরানী: ৬৯০৮)
গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া
গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা এই সময় নারীরা জটিল অবস্থার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করেন। বিপদ গ্রস্থ অবস্থায় গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া অবশ্যই আল্লাহ তালা কবুল করবেন।
নিচে তাই গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া গুলো তুলে ধরা হলো। গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কি আমল করতে হয় তা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। আর্টিকেল টির শেষাংশে গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম তুলে ধরা হবে।
বেশি বেশি নফল আমল করুন। গর্ভাবস্থায় যথাসম্ভব নফল আমল করার চেষ্টা করতে হবে। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে এবং অন্যান্য নফল আমল যেগুলো রয়েছে সেগুলো পালন করতে হবে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত নফল রোযা রাখা উচিত নয়।
যেকোনো ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকুন। পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা একজন মুসলমানের কর্তব্য। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের উচিত হলো: যেকোনো ধরনের পাপ কাজ থেকে সর্বদা বিরত থাকা। অনাগত সন্তানের উপরে মায়ের জীবনধারণের প্রভাব পড়ে। তাই গর্ভস্থ সন্তানকে নেককার বানাতে চাইলে গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া গুলো জেনে রাখা উচিত।
ধৈর্য ধারণ করুন। গর্ভাবস্থা অনেক কষ্টদায়ক একটি অবস্থা। এই সময় বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ধরনের কষ্ট সহ্য করতে হয়। তাই আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে। আপনি যদি অধৈর্য হয়ে যান তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার এবং আপনার অনাগত সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করুন। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করুন। নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করলে আপনার মন ভালো থাকবে এবং আপনি দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে পারবেন। তাই সময় পেলেই কোরআন তেলাওয়াত করার চেষ্টা করবেন।
গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া - ১
সুশান্ত অনেক সন্তান পেতে চাইলে নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করতে পারেন, "রাব্বি হাবলী মিল্লাদুনকা যুররিয়্যাতান ত্বাইয়্যিবাহ, ইন্নাকা সামীউদ দুআ।"
অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আমাকে তুমি তোমার নিকট থেকে সৎ বংশধর দান কর। নিশ্চয় তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী। (আলে ইমরানঃ ৩৮)
গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া - ২
"রাব্বি লা তাযারনী ফারদাঁউ অআন্তা খাইরুল ওয়া-রিষীন।"
অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আমাকে একা (সন্তানহীন) ছেড়ে দিও না এবং তুমিই সর্বোত্তম উত্তরাধিকারী। (আম্বিয়াঃ ৮৯)
গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া - ৩
"রাব্বি হাবলী মিনাস স্বা-লিহীন।"
অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সৎকর্মপরায়ণ সন্তান দান কর। (স্বাফফাতঃ ১০০)।
গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম
গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম অনুসরণ করে ঘুমানো উচিত। কেননা ঘুমের মধ্যে যদি ব্যাঘাত ঘটে তাহলে গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম নিচে উল্লেখ করা হলো।
ডান পাশ বা বাম পাশ হয়ে ঘুমানো। গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম হলো ডানপাশ অথবা বাম পাশ হয়ে ঘুমানো, গর্ভাবস্থায় যে কোন এক পাশে শুয়ে থাকলে গর্ভবতী মায়েরা অনুভব করেন এবং শরীরের রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা ঠিক থাকে ফলে শিশুর শরীরে কোন ধরনের অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয় না।
চিৎ হয়ে না ঘুমানো। গর্ভবতী মায়েদের চিত হয়ে ঘুমানো উচিত নয় কেননা ঘুমালে সবচেয়ে বড় রক্তনালী ইনফেরিওর ভেনাকাভাতে চাপ পড়ে ও হৃদপিণ্ডে কম রক্ত প্রবেশ করে যারা ফলে মায়ের রক্তচাপ কমে যায় এবং প্ল্যাসেন্টাতে রক্তপ্রবাহের স্বাভাবিকতা নষ্ট হয়। আর এ কারণে গর্ভস্থ শিশুর শরীরে অক্সিজেনের অভাব হতে পারে।
উপুর হয়ে না ঘুমানো। গর্ভবতী মায়েদের কখনও উপুড় হয়ে শুয়ে থাকা উচিত নয় কেননা উপুড় হয়ে শুয়ে থাকলে বাচ্চার নড়াচড়া ঘটে এবং মায়ের শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় সমস্যা দেখা দেয় তাই কখনোই উপুড় হয়ে শোয়া যাবেনা। অবশ্যই আপনাকে গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম অনুসারে ঘুমাতে হবে।
ঢিলেঢালা পোশাক পরে ঘুমানো। গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই ঢিলেঢালা পোশাক পরে ঘুমাতে হবে। কেননা টাইট ফিটিং পোশাক পরে রাত্রে ঘুমানো উচিত নয়। টাইট পোশাক পড়ে ঘুমালে গর্ভস্থ বাচ্চার নড়াচড়া করতে সমস্যা হতে পারে। শক্ত পোশাক পরে ঘুমানো গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম বহির্ভূত কাজ।
পায়ের নিচে ব্যবহার করা। ঘুমানোর সময় গর্ভবতী মায়েদের উচিত পায়ের নিচে বালিশ ব্যবহার করা। এতে করে শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকে ফলে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম সম্পর্ক প্রতীক সকল তথ্য তুলে ধরা হলো তা অনুসরণ করলে গর্ভবতী নারী এবং গর্ভস্থ সন্তান সুস্থ থাকবে বলে আশা করা যায়।
গর্ভবতী মায়ের আমল - গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কি আমল?: উপসংহার
গর্ভবতী মায়ের আমল ও গর্ভবতী মায়ের ঘুমানোর নিয়ম সম্পর্কে ওরে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।গর্ভবতী মায়েদের সম্পর্কে উপদেশ যে সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে তা অনুসরণ করলে গর্ভবতী মায়েরা সুস্থ থাকতে পারবে এবং তাদের গর্ভস্থ সন্তান ভালোভাবেই বেড়ে উঠবে। আশাকরি উপরে বর্ণিত তথ্যগুলো আপনার ভালো লেগেছে। এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে অবশ্যই বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করবেন। ১৬৪১৩
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন