bloggermomota.com
https://www.bloggermomota.com/2022/10/blog-post_29.html
সর্দি জ্বরের এন্টিবায়োটিক - সর্দি জ্বরের হোমিওপ্যাথি ঔষধ
সর্দি জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবনের পূর্বে আপনি সর্দি জ্বর সারানোর ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন। কিন্তু যদি রোগের প্রকোপ অনেক বেশি থাকে তাহলে সর্দি জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করতে হবে। তবে সর্দি জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
পেজ সূচিপত্র: সর্দি জ্বরের এন্টিবায়োটিক - সর্দি জ্বরের হোমিওপ্যাথি ঔষধ
- সর্দি জ্বরের এন্টিবায়োটিক - সর্দি জ্বরের হোমিওপ্যাথি ঔষধ: উপস্থাপনা
- সর্দি জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের তালিকা
- সর্দি জ্বরের হোমিওপ্যাথি ঔষধ
- সর্দি জ্বর হলে কি করা উচিত? - সর্দি জ্বর হলে করণীয় কি? - সর্দি জ্বর হলে কি করনীয়?
- সর্দি জ্বর থেকে মুক্তির উপায় - সর্দি জ্বর দূর করার উপায় - সর্দি জ্বর সারানোর ঘরোয়া উপায়
- সর্দি জ্বরের এন্টিবায়োটিক - সর্দি জ্বরের হোমিওপ্যাথি ঔষধ: উপসংহার
সর্দি জ্বরের এন্টিবায়োটিক - সর্দি জ্বরের হোমিওপ্যাথি ঔষধ: উপস্থাপনা
সর্দি জ্বর হলে প্রথমেই এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। কেননা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করলে শরীরে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তবে যদি সর্দি-জ্বর জটিল আকার ধারণ করে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক সেবন করা যেতে পারে। নিচে সর্দি জ্বর হলে কি করা উচিত?, সর্দি জ্বর হলে করণীয় কি? এবং সর্দি জ্বর হলে কি করনীয়? সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
সর্দি জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের তালিকা
বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির সর্দি জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধ রয়েছে। সর্দি জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধ গুলোর মধ্য থেকে যে ওষুধগুলো সবচেয়ে বেশি কার্যকর সেই ওষুধ গুলোর তালিকা নিচে তুলে ধরা হবে। চলুন দেখে নেয়া যাক সর্দি জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের তালিকা। সর্দি জ্বর হলে কি করা উচিত?, সর্দি জ্বর হলে করণীয় কি? বা সর্দি জ্বর হলে কি করনীয়? সে সম্পর্কে আর্টিকেলটির শেষাংশে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।
সর্দি জ্বরের এন্টিবায়োটিক ঔষধের তালিকা:
- AZ 500 mg
- Adiz 250 mg
- Adiz 500 mg
- Azin 250 mg
- Azin 500 mg
- AZ 250 mg
- Brolyt (4mg)
- Fexo 120
- Keto A 100
- Ambrox 75 SR
- Klarix
- Acorex (15mg)
সর্দি জ্বরের হোমিওপ্যাথি ঔষধ
সর্দি জ্বরের হোমিওপ্যাথি ঔষধ রোগ নিরাময়ের কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। সর্দি জ্বরের হোমিওপ্যাথি ঔষধ সেবন করলে খুব সহজেই সর্দি জ্বর থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। সর্দি জ্বরের হোমিওপ্যাথি ঔষধ সেবন করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থায় বহুল ব্যবহৃত এবং অধিক কার্যকর সর্দি জ্বরের হোমিওপ্যাথি ঔষধ সমূহের তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো। সর্দি জ্বর হলে কি করা উচিত?, সর্দি জ্বর হলে করণীয় কি? বা সর্দি জ্বর হলে কি করনীয়? সে সম্পর্কে জানতে চাইলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
অ্যাকোনাইট: ঠান্ডা ও শুষ্ক বায়ুর সংস্পর্শের কারণে হঠাৎ করে যদি সর্দি-জ্বরের আবির্ভাব হয় তাহলে আপনার জন্য সর্বোচ্চ কার্যকর সর্দি জ্বরের হোমিওপ্যাথি ঔষধ হতে পারে অ্যাকোনাইট। নিয়ম অনুযায়ী এই ঔষধটি সেবন করলে খুব দ্রুত সর্দি জ্বর থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব।
বেলেডোনা: সর্দি-জ্বরের অনেক বেশি থাকে এবং বিশেষ করে জ্বরের কারণে মুখমন্ডল লাল হয়ে যায় তাহলে বেলেডোনা ঔষধটি খুবই কার্যকর একটি ঔষধ। বিশেষ করে নারীদের এবং শিশুদের জ্বর ও সর্দি রোগ সারাতে এই ঔষধটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আর্সেনিক এলবাম: সর্দির মাত্রা যদি অনেক বেশি হয় এবং নাক দিয়ে সব সময় সর্দি ঝরতে থাকে, পাশাপাশি জ্বর থাকে। তাহলে আর্সেনিক এলবাম অব্যর্থ ঔষধ। রোগীকে সঠিক মাত্রায় আর্সেনিক এলবাম ঔষধ দিতে পারলে খুব দ্রুত রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে।
রাসটক্স। সর্দি-জ্বরের পাশাপাশি যদি শরীরে ব্যথা থাকে তাহলে সর্দি জ্বরের হোমিওপ্যাথি ঔষধ রাসটক্স খুবই কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। নিয়মিত এই ওষুধটির সেবনের ফলে রোগী দূরত্ব আরোগ্য লাভ করে। সর্দি জ্বর থেকে মুক্তির উপায় বা সর্দি জ্বর দূর করার উপায় গুলো নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
জেলসেমিয়াম: সর্দি জ্বরের হোমিওপ্যাথি ঔষধ গুলোর মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো জেলসিমিয়াম। লক্ষণ অনুসারে মাত্রা অনুযায়ী জেলসিমিয়াম ঔষধ প্রয়োগ করলে সর্দি জ্বর সম্পূর্ণরূপে নিরাময় হয়। সর্দি জ্বর হলে কি করা উচিত?, সর্দি জ্বর হলে করণীয় কি? বা সর্দি জ্বর হলে কি করনীয়? সে বিষয়ে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।
সর্দি জ্বর হলে কি করা উচিত? - সর্দি জ্বর হলে করণীয় কি? - সর্দি জ্বর হলে কি করনীয়?
আপনি যদি সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হন তাহলে আপনাকে বিশেষ কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হবে।এখন প্রশ্ন হলো সর্দি জ্বর হলে কি করা উচিত? বা সর্দি জ্বর হলে করণীয় কি? সর্দি হলে আপনাকে সকল নিয়ম কানুন অনুসরণ করতে হবে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো। চলুন দেখে নেয়া যাক সর্দি জ্বর হলে কি করনীয়?
অধিক পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত ফল খাওয়া। ঠান্ডা জনিত কোন সমস্যা করে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে তাই এখনই আঙ্গুর, কমলা, মাল্টা, লেবু ইত্যাদি। এই ফল গুলো নিয়মিত খেতে পারেন। সর্দি জ্বর হলে কি করা উচিত? সর্দি হলে অধিক পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত ফল খাওয়া উচিত।
টক দই। সর্দি জ্বরের প্রকোপ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে টকদই। তাই আপনি সর্দি কাশি নিরাময় টক দই খেতে পারেন। তবে টক দই খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে তা যেন ঠাণ্ডা না হয়। কেননা ঠান্ডা দই খেলে আপনার সর্দি জ্বরের জন্য তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। সর্দি জ্বর হলে করণীয় কি? সর্দি জ্বর হলে করণীয় হলো নিয়মিত টক দই খাওয়া।
গোসলের পরে ভালোভাবে শুকানো। অনেক সময় নারীরা গোসল করার পরে চুল শুকানোর আগেই তাড়াহুড়ো করে চুল বেঁধে বাইরে চলে যান ভালো চুল ভেজা থাকে। যার ফলে মাথায় ঠান্ডা কোরছে সর্দি-জ্বরের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে তবে অবশ্যই আপনাকে চুল ভালো করে শুকিয়ে নিয়ে বাইরে যেতে হবে।
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। জ্বর সর্দি-কাশি প্রতিরোধে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া বাঞ্ছনীয়। কেননা আপনি যদি নিয়মিত ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন তাহলে সর্দি-কাশিতে সহ অন্যান্য সমস্যা খুব সহজেই দূরীভূত হয়ে যাবে। সর্দি জ্বর হলে কি করনীয়? সর্দি হলে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
আদা খাওয়া। সর্দি জ্বরের প্রকোপ কমাতে গরম পানির সাথে আদমচরিত করে খেতে পারেন এতে উপকার পাবেন। ১ লিটার গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ সাদা থাকলে দিতে হবে এরপরে হতে থাকলাম পানি গরম করতে হবে এবং উষ্ণ গরম অবস্থায় তা খেতে হবে।
সর্দি জ্বর হলে কি করা উচিত?, সর্দি জ্বর হলে করণীয় কি? এবং সর্দি জ্বর হলে কি করনীয়? আশা করি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেয়েছেন। কেননা এ সম্পর্কে ইতোমধ্যেই উপরে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। নিচে সর্দি জ্বর থেকে মুক্তির উপায় বা সর্দি জ্বর দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।
সর্দি জ্বর থেকে মুক্তির উপায় - সর্দি জ্বর দূর করার উপায় - সর্দি জ্বর সারানোর ঘরোয়া উপায়
তুলসী পাতা। তুলসী পাতার সুষম ব্যবহার হতে পারে সর্দি জ্বর দূর করার উপায় বা সর্দি জ্বর সারানোর ঘরোয়া উপায়। সঠিক মাত্রায় যদি এখনই তুলসী পাতার রস খেতে পারেন তাহলে সর্দি জ্বর থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে তুলসী পাতা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। গরম পানির সাথে তুলসী পাতার রস মিশ্রিত করে খেলে সর্দি জ্বর ঠান্ডা জনিত আরো অন্যান্য সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায়।
মধু। গরম পানির সাথে মধু মিশ্রিত করে খেলে সর্দি জ্বর কাশি সহ আরো অনেক সমস্যা দূর হয়ে যায়। তাই সর্দি জ্বর থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে মধুর ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাত্রে শোয়ার পূর্বের গরম পানির সাথে কয়েক ফোঁটা মধু মিশ্রিত করে খেলে উপকার পাবেন।
আদা। আদার রস, গরম পানির সাথে মিশ্রিত করে খেলে সর্দি জ্বরের প্রকোপ কমে আসে। সর্দি জ্বর দূর করার উপায় বা সর্দি জ্বর সারানোর ঘরোয়া উপায় হিসেবে বহু আগে থেকেই আদার ব্যবহার করার খুবই জনপ্রিয়। তাই আপনিও আদার রস খেয়ে সর্দি-জ্বর থেকে আরোগ্য লাভ করতে পারেন।
জলপট্টি। জ্বর দূর করার জন্য জলপট্টির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জলের মাত্রা প্রচন্ড আকার ধারণ করলে জলপট্টি ব্যবহার করার মাধ্যমে জ্বরের প্রকোপ কমিয়ে আনা সম্ভব। তাই জ্বর হলে জলপট্টি ব্যবহার করতে হবে। জলপট্টি ব্যবহার করা সর্দি জ্বর থেকে মুক্তির উপায়, সর্দি জ্বর দূর করার উপায় বা সর্দি জ্বর সারানোর ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি।
রসুন। জ্বর সর্দির প্রকোপ কমাতে রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাই জ্বর সর্দি সারানোর জন্য নিয়মিত রসুন খেতে পারেন ঘুমানোর পূর্বে ৩-৪ কোয়া রসুন গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। সর্দি জ্বর সারানোর ঘরোয়া উপায় সময়ের মধ্যে রসুনের ব্যবহার অন্যতম একটি উপায়।
সর্দি জ্বর থেকে মুক্তির উপায় বা সর্দি জ্বর দূর করার উপায় হিসেবে উপরে যে সকল তথ্য তুলে ধরা হলো সেগুলো অনুসরণ করতে পারেন। সর্দি জ্বর হলে প্রথমে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার না করে সর্দি জ্বর সারানোর ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করুন।
সর্দি জ্বরের এন্টিবায়োটিক - সর্দি জ্বরের হোমিওপ্যাথি ঔষধ: উপসংহার
সর্দি জ্বর হলে কি করা উচিত?, সর্দি জ্বর হলে করণীয় কি? এবং সর্দি জ্বর হলে কি করনীয়? সে সম্পর্কিত মধ্যে পড়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো আশা করি আপনার উপকারে আসবে। ১৬৪১৩
0 Comments
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন