bloggermomota.com https://www.bloggermomota.com/2022/10/blog-post_19.html

এজমা কেন হয়? - এজমা হলে কি করনীয়

এজমা কেন হয়? এজমা হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে।  এজমা হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো জেনেটিক বা বংশগত কারণ। বংশের কারো এজমা থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে যে কারো হতে পারে। এজমা কেন হয়? সে সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে আর্টিকেল শেষপর্যন্ত করতে হবে। চলুন দেখে নেয়া যাক  এজমা কেন হয়?

পেজ সূচিপত্র:  এজমা কেন হয়? - এজমা হলে কি করনীয়

এজমা কেন হয়? - এজমা হলে কি করনীয়: উপস্থাপনা

এজমা বা হাঁপানি খুবই কমন একটি রোগ। অনেক মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। এজমা রোগ হওয়ার পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। সাধারণত যে সকল কারনে এজমা রোগ হয়ে থাকে সেই কারণগুলো নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি এজমা থেকে মুক্তির উপায়, এজমা রোগের ঔষধ বা এজমার ঔষধের নাম এবং এজমার হোমিও ঔষধ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে

এজমা কেন হয়?

এজমা কেন হয়? তা নির্দিষ্ট করে কখনোই বলা সম্ভব নয়। তবে সাধারণত যে বিষয়গুলোর কারণে হাঁপানি রোগ হয়ে থাকে সে বিষয়গুলো নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো। এজমা কেন হয়? তা যদি আপনি জানতে চান না তাহলে নিম্নবর্ণিত কারণ গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

বংশগত কারণে। এজমা রোগ হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো বংশগত কারণ। যদি বংশের পূর্ববর্তী করো এজমা রোগ থেকে থাকে তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে এই রোগ দেখা দিতে পারে।সুতরাং এজমা হওয়ার অন্যতম কারণ হলো বংশগত কারণ।

বায়ু দূষণের ফলে। বায়ু দূষণের ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। বায়ু দূষণের ফলে যে সকল রোগ হয় তার মধ্যে হাঁপানি অন্যতম। বিভিন্নভাবে বায়ু দূষিত হতে পারে। বিশেষ করে কলকারখানার বর্জ্য পদার্থের গ্যাস, সিগারেটের ধোঁয়া, বিভিন্ন রঙের ঝাঁজ, ইত্যাদি সহজেই বায়ু দূষণ করতে পারে। আর বায়ু দূষণের ফলে এজমা রোগ হতে পারে। 
পশুর লোম কিংবা আরশোলার মাধ্যমে। পোষা প্রাণী, গৃহপালিত পশু, কিংবা ঘরে থাকা আরশোলার মাধ্যমেই এজমা রোগ হতে পারে। বিশেষ করে আপনি যদি পোষা প্রাণী কিংবা গৃহপালিত পশুকে স্পর্শ করেন এবং ভালোভাবে হাত না ধুয়ে খাবার গ্রহণ করেন কিংবা পোষা প্রাণীর গায়ের লোম যদি আপনার ভেতরে প্রবেশ করে তাহলে হাঁপানি হতে পারে। 

ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে। বিভিন্ন ধরনের ব্যথানাশক ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে হাঁপানি রোগ হতে পারে আবার অ্যাসপিরিন কিংবা হেরোইন জাতীয় কোন পদার্থ সেবন করার প্রতিক্রিয়ার ফলেও এজমা রোগ হতে পারে।  এজমা কেন হয়? আশা করি এই প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। নিচে এজমা রোগের লক্ষণ সমূহ উল্লেখ করা হলো।

এজমা রোগের লক্ষণ

এজমা রোগের লক্ষণ অনেক। এজমা রোগের লক্ষণ গুলোর মাধ্যমে সাধারণত যে লক্ষণগুলো সচরাচর প্রকাশ পেয়ে থাকে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো। নিম্নবর্ণিত এজমা রোগের লক্ষণ গুলো যদি কারো মাঝে পাওয়া যায় তাহলে ধরে নিতে হবে যে সেই ব্যক্তি হাঁপানি রোগে আক্রান্ত। এ চলুন দেখে নেয়া যাক এজমা রোগের লক্ষণ গুলো। 

শ্বাসকষ্ট। অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগের প্রধান দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট যদি কোন ব্যক্তির দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সেই ব্যক্তি এজমা রোগের আক্রান্ত। দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট হওয়া এজমা রোগের লক্ষণ। 

দীর্ঘদিন শুকনো কাশি। দীর্ঘদিন ধরে যদি শুকনো কাশি থাকে তাহলে তা হতে পারে এজমা রোগের লক্ষণ। শুকনো কাশি থাকার পাশাপাশি শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে তা সাধারণত এজমা রোগের ফলে হয়ে থাকে। 

শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করার সময় বুকে বাঁশির মতো শব্দ করা। স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করার সময় যদি বুকের মধ্যে বাঁশির মতো শব্দ করে বা হঠাৎ শা শা শব্দ করে, তাহলে ধরে নিতে হবে সেই ব্যক্তি হাঁপানি রোগ অর্থাৎ অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত। এজমা রোগের লক্ষণ গুলোর মধ্যে আরেকটি লক্ষণ হলো শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বুকে বাঁশির মতো শব্দ হওয়া। 
ঋতু পরিবর্তনের সময় শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া। ঋতু পরিবর্তনের সময় যদি শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় রোগীর অবস্থা জটিল আকার ধারণ করে, তাহলে অবশ্যই সেটা এজমা রোগের কারণে হয়ে থাকে। কেননা ঋতু পরিবর্তনের সময় শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া এজমা রোগের অন্যতম একটি লক্ষণ। 

অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠা। যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে তারা দীর্ঘ সময় শারীরিক পরিশ্রম করতে পারে না। অল্প পরিশ্রম করার পরেই তারা হাঁপিয়ে ওঠে এবং তাদের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। যদি এ ধরনের সমস্যা দেখতে পান, তাহলে অবশ্যই ধরে নিতে হবে যে সেই ব্যক্তি অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত। 

এজমা হলে কি করনীয়? - এজমা থেকে মুক্তির উপায় - এজমার ঔষধের নাম

যদিও এজমা কখনোই পুরোপুরি ভাবে নিরাময় হয় না। কিন্তু কিছু বিষয় অবলম্বন করলে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এজমা হলে কি করনীয়? তা নিচে উল্লেখ করা হবে। এজমা থেকে মুক্তির উপায় গুলো আপনার জানা থাকলে খুব সহজেই আপনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক এজমা হলে কি করনীয়? বা এজমা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। 

রসুন খাওয়া। আপনি যদি নিয়মিত প্রতিদিন রাত্রে শোয়ার পড়বে এক কাপ দুধ এর সাথে সারাক্ষণ দিয়ে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে খেতে পারেন তাহলে হাঁপানির অনেকাংশে কমে যাবে এবং আপনি আরাম পাবেন। তাই হাঁপানির প্রকোপ কমাতে নিয়মিত দুধের সাথে রসুন খেতে পারেন। রসুন খাওয়া এজমা থেকে মুক্তির উপায় গুলোর মধ্যে একটি। এজমা রোগের ঔষধ বিশেষ করে এজমার হোমিও ঔষধ সমূহের তালিকা নিচে তুলে ধরা হবে। 
 
ল্যাভেন্ডার তেল। অ্যাজমার প্রকোপ কমাতে ল্যাভেন্ডার তেল বিশেষ উপকারী হিসেবে বিবেচিত। তাই আপনি যদি হাঁপানির প্রকোপ কমাতে চান তাহলে নিয়মিত এক কাপ গরম পানির সাথে ৫/৬ চামুচ ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে ধীরে ধীরে সেই তেলযুক্ত গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। এভাবে কিছুদিন ভাব নিলেই আশা যায় এজমা নিরাময় হবে। ল্যাভেন্ডার তেল গরম পানির সাথে মিশিয়ে ভাব গ্রহণ করা হতে পারে এজমা থেকে মুক্তির উপায়। 

ইনহেলার । হাঁপানির চিকিৎসায় ইনহেলারের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কেননা সহজে বহনযোগ্য তৎক্ষণাৎ উপশম দানকারী চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ইনহেলার ব্যবহার করা। এবং এটি সব জায়গাতে পাওয়া যায় তাই যেকোনো জায়গায় গিয়ে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা যায়। এজমা থেকে মুক্তির উপায় উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো  ইনহেলার ব্যবহার করা।
সালবিউটামল জাতীয় ঔষধ। সালবিউটামল জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করে তাৎক্ষণিকভাবে উপশম লাভ করা যায়। তাই যখন অধিকমাত্রায় অ্যাজমার সমস্যা শুরু হয় তখন সাধারণত সালবিউটামল জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এজমা হলে কি করনীয়? এজমা হলে সালবিউটামল জাতীয় ঔষধ সেবন করা উচিত। এজমা হলে কি করনীয়? বা এজমা থেকে মুক্তির উপায় কি? তা উপরে তুলে ধরা হয়েছে।

ইঞ্জেকশন গ্রহণ করা। হাঁপানির প্রকোপ ঠেকানোর জন্য স্টেরয়েডের ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে তাই আপনি চাইলে ইঞ্জেকশন গ্রহণ করে হাঁপানি থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। এজমা হলে কি করনীয়? বা এজমা থেকে মুক্তির উপায় কি? আশা করি এই প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। 

এজমা রোগের ঔষধ - এজমার ঔষধের নাম- এজমার হোমিও ঔষধ

নিয়মিত এজমা রোগের ঔষধ সেবন করলে আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনি এজমার হোমিও ঔষধ সেবন করতে পারেন। কেননা এজমার হোমিও ওষুধ খুবই কার্যকরী, এজমার ঔষধের নাম গুলো নিচে তুলে ধরা হলো। চলুন দেখে নেয়া যাক, এজমা রোগের ঔষধ এবং এজমার ঔষধের নাম।

এজমার হোমিও ঔষধ সমূহের নামের তালিকা নিম্নরূপ:
  • থুজা
  • নেট্রাম সালফ
  • একোনাইট
  • সোরিনাম
  • বেসিলিনাম
  • মেডোরিনাম
  • এরালিয়া রেসিমোসা
  • কেলিকার্ব
  • কষ্টিকাম
  • আর্সেনিক
উপরে উল্লেখিত এজমা রোগের ঔষধ বা এজমার হোমিও ঔষধ গুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করতে হবে। কেননা নিজে নিজে ঔষধ কিনে খেলে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা তৈরি হতে পারে।

এজমা রোগের ঔষধ - এজমার ঔষধের নাম- এজমার হোমিও ঔষধ: উপসংহার

এজমা রোগের ঔষধ বিশেষ করে এজমার হোমিও ঔষধ এজমা রোগ নিরাময়ে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।  উপরে যে সকল এজমার ঔষধের নাম তুলে ধরা হয়েছে সেই ওষুধগুলো বহুল ব্যবহৃত এজমার ঔষধ। ১৬৪১৩

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

নটিফিকেশন ও নোটিশ এরিয়া