bloggermomota.com https://www.bloggermomota.com/2022/10/blog-post.html

মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের লক্ষণ - মাঙ্কি পক্স এর লক্ষণ

মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের লক্ষণ যদি কারো মাঝে প্রকাশ পায় তাহলে অবশ্যই তাকে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের লক্ষণ সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি লক্ষণ হলো কাঁপুনি দিয়ে জ্বর ওঠা। এছাড়াও মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের লক্ষণ আরো অনেক রয়েছে। সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হবে। মাঙ্কি পক্স ভাইরাস কি? এবং কোথায় মাঙ্কি পক্স এর উৎপত্তি তা নিচে তুলে ধরা হলো

পেজ সূচিপত্র: মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের লক্ষণ - মাঙ্কি পক্স এর লক্ষণ

মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের লক্ষণ - মাঙ্কি পক্স এর লক্ষণ: উপস্থাপনা

মাঙ্কি পক্স বর্তমানে বিশ্বের অনেকগুলো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই অনেকেই এই রোগটি নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। মাঙ্কি পক্স নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার তেমন কোনো কারণ নেই। তবে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আর সাবধানতা অবলম্বন করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে মাঙ্কি পক্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। চলুন দেখে নেয়া যাক মাঙ্কি পক্স কিভাবে ছড়ায়?, মাঙ্কি পক্স কেন হয়? এবং মাঙ্কি পক্স কি ধরনের ভাইরাস?

মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের লক্ষণ - মাঙ্কি পক্স এর লক্ষণ

মাঙ্কি পক্স মোটামুটি জটিল ধরনের একটি রোগ। তাই প্রাথমিক অবস্থায় যদি মাঙ্কি পক্সের চিকিৎসা না করা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে কিন্তু রোগীর অবস্থার জটিল হতে পারে। মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের লক্ষণ বা মাঙ্কি পক্স এর লক্ষণ গুলো জানা থাকলে খুব সহজেই মাঙ্কি পক্স নির্ণয় করা যায়, ফলে চিকিৎসা করতে সুবিধা হয়। 

কোন ব্যক্তি মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হওয়ার সাধারণত তার দেড় থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যেই তার শরীরে মাঙ্কি পক্স এর লক্ষণ গুলো প্রকাশ পেয়ে থাকে।  নিচে মাঙ্কি পক্স কিভাবে ছড়ায়?, মাঙ্কি পক্স কেন হয়? এবং মাঙ্কি পক্স কি ধরনের ভাইরাস? নিচে তা বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হলো। 

কাঁপুনি দিয়ে জ্বর। মাঙ্কি পক্সের অন্যতম প্রধান একটি লক্ষণ হলো কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা। আরো যে সকল মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের লক্ষণ রয়েছে তার সাথে যদি কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এর লক্ষন কারো মাঝে পাওয়া যায় তাহলে হতে পারে সেই ব্যক্তি মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত। মাঙ্কি পক্স কি?,  মাঙ্কি পক্স ভাইরাস কি? এবং মাঙ্কি পক্স এর উৎপত্তি সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

গায়ে ব্যথা। মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের লক্ষণ সমূহের মধ্য থেকে আরেকটি অন্যতম লক্ষণ হলো গায়ে ব্যথা হওয়া। মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা থাকে এবং এই ব্যথার কারণে রোগী অনেক সময় অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে তাই গায়ে যদি এ ধরনের ব্যথা থাকে এবং মাঙ্কি পক্স এর লক্ষণ সমূহের অন্যান্য লক্ষণও প্রকাশ পায় তাহলে ধরে নিতে হবে যে সেই ব্যক্তি মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত। 
বসন্তের মতো গায়ে গুটি গজিয়ে ওঠা। মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগীর বসন্তের মতো গায়ে গুটি গজিয়ে ওঠে। এবং সেই গুটিগুলো অনেক ব্যথা দায়ক হয়ে থাকে। তবে সাধারন বসন্তের সাথে মাঙ্কি পক্সের ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। পার্থক্য হলো মাঙ্কি পক্সের ফুসকুড়ি গুলো প্রথমে চোয়ালের কাছে, ঘাড়ে বা কুঁচকিতে অবস্থান দৃশ্যমান হয় এবং পরবর্তীতে সারা শরীরে ছড়িয়ে যায়। 

মাথাব্যথা। মাঙ্কি পক্সের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হলো প্রচন্ড মাথা ব্যথা হওয়া। যখন কোন ব্যক্তি মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হয় তখন তিনি প্রচুর মাথা ব্যথা অনুভব করেন প্রচুর মাথা ব্যথা হওয়া মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের লক্ষণ গুলোর মধ্যে পরিচিত একটি লক্ষণ। মাঙ্কি পক্স কি?,  মাঙ্কি পক্স ভাইরাস কি? এবং মাঙ্কি পক্স এর উৎপত্তি কোথায়? সে সম্পর্ক নিচে আলোচনা করা হয়েছে। 

অবসাদগ্রস্ততা। মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হলে রোগী সাধারণত অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে তাই অবসাদ গ্রস্থতা মাঙ্কি পক্স এর লক্ষণ। সুতরাং উপরোল্লেখিত মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের লক্ষণ গুলোর সাথে যদি অবসাদগ্রস্ততা থাকে তাহলে নিশ্চিত ধরে নিতে পারেন যে ওই ব্যক্তি মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত। মাঙ্কি পক্স কিভাবে ছড়ায়?, মাঙ্কি পক্স কেন হয়?, মাঙ্কি পক্স কি ধরনের ভাইরাস? মাঙ্কি পক্স কি?,  মাঙ্কি পক্স ভাইরাস কি? এবং মাঙ্কি পক্স এর উৎপত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ুন। 

মাঙ্কি পক্স কি? - মাঙ্কি পক্স ভাইরাস কি? -মাঙ্কি পক্স এর উৎপত্তি

মাঙ্কি পক্স কি? মাঙ্কি পক্স হলো একটি ডিএনএ জাতীয় ভাইরাস। সর্বপ্রথম ১৯৫৮ প্রিবেন ভন ম্যাগনাস সনাক্ত করেছিলেন। পরবর্তীতে এই ভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে তার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি ল্যাবরেটরীতে মাঙ্কি পক্স ভাইরাস সনাক্ত করা হয়। তবে সেই সময় মাঙ্কি পক্স শুধু বানরের মধ্যেই পরিলক্ষিত হয়।

মাঙ্কি পক্স কিভাবে ছড়ায়?, মাঙ্কি পক্স কেন হয়? এবং মাঙ্কি পক্স কি ধরনের ভাইরাস?  সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে আপনাকে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলুন দেখে নেয়া যাক মাঙ্কি পক্স সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য। 
পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে, কঙ্গোর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের ইকোয়াট্যুর প্রদেশে ৯ মাসের একটি শিশুর শরীরে এই রোগের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এর পর ১৯৮৬ সালের মধ্যে চারশোরও বেশি মানুষের শরীরে রক্ত পড়ে যার মধ্যে  ১০% মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সুতরাং মাঙ্কি পক্স ভাইরাস ভয়াবহ একটি ভাইরাস।সম্প্রতি ভারতসহ ইউরোপীয় দেশে মাঙ্কি পক্স এর ব্যাপক সংক্রমণ ঘটে। মাঙ্কি পক্স ভাইরাস কি? এবং মাঙ্কি পক্স এর উৎপত্তি কোথায়? আশা করি সেই প্রশ্নের জবাব পেয়েছেন। 

মাঙ্কি পক্স কিভাবে ছড়ায়? - মাঙ্কি পক্স কেন হয়? - মাঙ্কি পক্স কি ধরনের ভাইরাস

মাঙ্কি পক্স কিভাবে ছড়ায়? বিভিন্ন ভাবে মাঙ্কি পক্স এক ব্যক্তি থেকে অপর ব্যক্তির মাঝে ছড়াতে পারে।সাধারণত যে সকল মুসলমানকে বক্স একজন অপরজনের মাঝে বিস্তার লাভ করে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হবে। মাঙ্কি পক্স কেন হয়?, মাঙ্কি পক্স কিভাবে ছড়ায়? এবং মাঙ্কি পক্স কি ধরনের ভাইরাস? তা নিচে তুলে ধরা হলো।

আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে। মাঙ্কি পক্স একজন ব্যক্তি থেকে আরেকজন ব্যক্তির মাঝে সংক্রমিত হওয়ার অন্যতম মাধ্যম হলো মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা। কোন ব্যক্তি যদি মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে করমর্দন করে বা তার সাথে একই সঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া করে তাহলে একজন থেকে অপর জনের মাঝে খুব সহজেই এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়। 

যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে। মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে অপর ব্যক্তির মাঝে ছড়িয়ে পড়তে পারে সাধারণত যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে সরাসরি এক ব্যক্তি থেকে অপর ব্যক্তির মাঝে এই রোগ সংক্রমিত হয় এবং বিশেষ করে এই রোগের লক্ষণ যৌন অঙ্গ সমূহে প্রকাশ পায়। মাঙ্কি পক্স কিভাবে ছড়ায়?, মাঙ্কি পক্স কেন হয়? এবং মাঙ্কি পক্স কি ধরনের ভাইরাস? এই আর্টিকেলটিতে তা উল্লেখ করা হয়েছে। 

আক্রান্ত প্রাণীর সংস্পর্শে। মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত পোষা বিড়াল, কুকুর, এমনকি কাঠবিড়ালির মাধ্যমেও এই রোগ সংক্রমিত হতে পারে। মাঙ্কি পক্স রোগের অন্যতম বাহক হলো অন্যান্য প্রাণী। আক্রান্ত প্রাণীর মাধ্যমিকের সহজেই এই রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে। মাঙ্কি পক্স কি?, মাঙ্কি পক্স ভাইরাস কি? এবং মাঙ্কি পক্স এর উৎপত্তি কোথায়? এই বিষয় সর্ম্পকে আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। 
ভাইরাসযুক্ত কোন জিনিস এর সংস্পর্শে। মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র এর মাধ্যমেও খুব সহজে এইরূপ একজনের থেকে আরেকজনের মাঝে সংক্রমিত হতে পারে। তাই সংক্রমণ এড়াতে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। 

হাঁচি-কাশির মাধ্যমে। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মাঙ্কি পক্স একজন থেকে আরেকজনের মাঝে সংক্রমিত হতে পারে। তাই সংক্রমণ এড়াতে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঘরে অবস্থান করতে হবে। কেননা তার সংস্পর্শে আসলে অন্যরাও সহজে আক্রান্ত হয়ে যাবে। মাঙ্কি পক্স কিভাবে ছড়ায়?, মাঙ্কি পক্স কেন হয়?, মাঙ্কি পক্স কি ধরনের ভাইরাস? মাঙ্কি পক্স কি?, মাঙ্কি পক্স ভাইরাস কি? এবং মাঙ্কি পক্স এর উৎপত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ইতোমধ্যেই উপরে তুলে ধরা হয়েছে। 

মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের লক্ষণ - মাঙ্কি পক্স এর লক্ষণ: উপসংহার

মাঙ্কি পক্স সংক্রান্ত সকল তথ্য উপাত্ত উপরে তুলে ধরা হয়েছে আপনি যদি সেই বিষয়গুলো ভালভাবে উপলব্ধি করতে পারেন তাহলে খুব সহজে মাঙ্কি পক্স রোগের সংক্রমণ এড়াতে পারবেন। মাঙ্কি পক্স কিভাবে ছড়ায়?, মাঙ্কি পক্স কেন হয়?, মাঙ্কি পক্স কি ধরনের ভাইরাস? মাঙ্কি পক্স কি?, মাঙ্কি পক্স ভাইরাস কি? এবং মাঙ্কি পক্স এর উৎপত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো আশা করি আপনার ভালো লেগেছে। ১৬৪১৩

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

নটিফিকেশন ও নোটিশ এরিয়া